সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোরবানির পর চামড়া কিনতে আসছেন না কোনো ব্যবসায়ী। কোনো কোনো এলাকায় দুয়েকজন ব্যবসায়ীকে পাওয়া গেলেও দাম বলছেন খুবই কম। গরুর চামড়া আকার ভেদে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বলছেন। ছাগলের চামড়ার ক্ষেত্রে বিষয়টা আরো করুণ। এ চামড়ার কোনো ক্রেতাই নেই।
ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দাম দিচ্ছি। সায়েন্স ল্যাবরেটরির সামনে পাইকারি দাম অনেক কম। পোস্তাতে সামান্য কিছু বেশি হতে পারে। রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরির ফুটপাতে বসে খোলা হাট। সেখানে দেখা যায় সায়েন্স ল্যাবরেটরির মোড় থেকে উত্তরে মিরপুরে রোডের আধা কিলোমিটার সড়কের পাশে চামড়া কেনার জন্য মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন। দুয়েকজন চামড়া কেনা শুরুও করেছেন।
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিশনের দাবি, কাঁচা চামড়ার দাম নিয়ে অভিযোগ থাকলেও লবণ দেয়া চামড়া কেনাবেচা হবে সরকারের বেঁধে দেয়া দামে। বৃষ্টি ও বৈরি আবহাওয়ায় এ বছর ৫ থেকে ১০ শতাংশ চামড়া নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাও করছেন তারা। বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদ বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় এ বছর ৫ থেকে ১০ শতাংশ চামড়া নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তারপরও সঠিক দাম দিয়ে চামড়া কেনা হচ্ছে।
জাতীয় সম্পদ বিবেচনায় রাত ১০টার মধ্যে কোরবানির পশুর চামড়া লবণ দিয়ে প্রক্রিয়াজাত করার আহ্বান জানিয়েছে ট্যানারি মালিকরা। ঈদের চারদিন আগেই কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহের দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া দাম ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, গত বছর এ দাম ছিল ৪৭ থেকে ৫২ টাকা। ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম হবে ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, যা গত বছর ছিল ৪০ থেকে ৪৪ টাকা। সে হিসাবে গত বছরের চেয়ে এবার ঢাকায় প্রতি বর্গফুটে ৩ টাকা এবং ঢাকার বাইরে বেড়েছে ৪ টাকা। এছাড়া সারাদেশে লবণযুক্ত খাসির চামড়া গত বছরের মতই প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা, আর বকরির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার।