শুক্রবার (২৯ জুন) সকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, এর মধ্যে ৪৩ লাখ ৬১ হাজার গরু-মহিষ এবং ৫০ লাখ ৮১ হাজার ছাগল, ভেড়া ও অন্যান্য পশু বিক্রি হয়েছে।
বিক্রি হওয়া মোট গবাদিপশুর এ সংখ্যা দিয়ে কোরবানি হওয়া মোট পশুর সংখ্যা নিরূপণ করা যাবে না বলেও জানান মন্ত্রণালয়ের এ জনসংযোগ কর্মকর্তা।
তিনি জানান, কারণ বিক্রি হওয়া পশুর সঙ্গে গৃহপালিত যেসব গবাদিপশু কোরবানি হয়েছে, সেগুলো যুক্ত করে এ বছর মোট কোরবানি হওয়া গবাদিপশুর সংখ্যা নির্ধারণ হবে। মোট কোরবানি হওয়া পশুর সংখ্যা নিয়ে কাজ করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর মোট কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশি।
গত ১৪ জুন সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানান, এ বছর কোরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা ১ কোটি ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯টি। কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু রয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার। সে হিসেবে এবার ২১ লাখ ৪১ হাজার ৫৯৪টি পশু উদ্বৃত্ত আছে।
মন্ত্রী বলেন, গতবছরের চেয়ে এ বছর ৪ লাখ ১১ হাজার ৯৪৪টি পশু বেশি। এ বছর কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর মধ্যে ৪৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭৫২টি গরু-মহিষ, ৭৬ লাখ ৯০ হাজার ছাগল-ভেড়া এবং ২ হাজার ৫৮১টি অন্যান্য প্রজাতির গবাদিপশু।
এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৮ লাখ ৯৫ হাজার ৪৫৪টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ লাখ ৫৩ হাজার ১২৮টি, রাজশাহী বিভাগে ৪৫ লাখ ১১ হাজার ৬১৪টি, খুলনা বিভাগে ১৫ লাখ ১১ হাজার ৭০৮টি, বরিশাল বিভাগে ৪ লাখ ৯৩ হাজার ২০৬টি, সিলেট বিভাগে ৪ লাখ ১০ হাজার ২২৫টি, রংপুর বিভাগে ১৯ লাখ ৬২ হাজার ৯৫১টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৭টি কোরবানিযোগ্য গবাদিপশু রয়েছে।