নিউইয়র্কভিত্তিক সংবাদ প্ল্যাটফর্ম দ্য চায়না প্রজেক্টের এক প্রতিবেদনে অর্থনীতিবিদ ব্র্যাড সেটসার এমন মন্তব্য করেন। পরে এটি নিয়ে ব্লুমবার্গের বরাত দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে ইকোনমিক টাইমস। সংবাদে ব্র্যাড সেটসার বলেন, বিপুল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক পিপলস ব্যাংক অব চায়নার হিসাবে দেখানো হয় না; বরং চীনের রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও পলিসি ব্যাংকের সম্পদের মধ্যে এসব রিজার্ভের উপস্থিতি দেখতে পাওয়া যায়।
অর্থনীতিবিদ ব্র্যাড সেটসার বর্তমানে মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক থিঙ্কট্যাংক প্রতিষ্ঠান কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসে জ্যেষ্ঠ ফেলো হিসেবে কাজ করছেন। এর আগে ওবামা-বাইডেন প্রশাসনে বাণিজ্য ও ট্রেজারি বিভাগে উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
গত মে মাস পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দেখানো হয়েছে ৩ দশমিক ১৭ ট্রিলিয়ন বা ৩ লাখ ১৭ হাজার কোটি মার্কিন ডলার। কিন্তু ব্র্যাড সেটসারের দাবি, চীনের কাছে সব মিলিয়ে প্রায় ৬ ট্রিলিয়ন বা ৬ লাখ কোটি ডলারের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে। প্রসঙ্গত, এক ট্রিলিয়ন সমান এক লাখ কোটি।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের হিসাব প্রকাশের ক্ষেত্রে চীন সরকারের স্বচ্ছতার অভাব বিশ্বের জন্য কিছুটা সমস্যা তৈরি করছে বলে মনে করেন ব্র্যাড সেটসার। তিনি বলেন, চীন কাঠামোগতভাবে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এতটাই কেন্দ্রীভূত যে দেশটি দৃশ্যমান বা অগোচরে যা কিছুই করে, তা শেষ পর্যন্ত বিশ্বের বাকি অংশের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে।