বৈঠকে কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে উদ্ভূত বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। বৈঠকে সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে সংকট উত্তরণে জোর দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, বৈঠকে এসডিজি, জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রভাব এবং মহামারির ক্ষতিকর প্রভাবগুলো গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনি (আমিনা) বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অবদানের প্রশংসা করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তার সরকার আন্তর্জাতিক খাদ্য সংকট কাটিয়ে উঠতে যথাসময়ে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছে। তিনি বলেন, তার সরকার সংকট নিরসনে সব পতিত জমি চাষের আওতায় আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বাড়ির ছাদে খাদ্য ও সবজির চাষের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, তার সরকার কৃষিখাতে গবেষণাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা এরই মধ্যে লবণাক্ত ও বন্যাসহনশীল ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন এবং সেগুলো আরও উন্নত করতে কাজ করছেন।
রোহিঙ্গা ইস্যু প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মানবিক কারণে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ‘কিন্তু, তারা আমাদের জন্য বড় বোঝা হয়ে উঠেছে। এটি সামাজিক সমস্যা তৈরি করেছে’ বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আমিনা জে মোহাম্মদ বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ৫২টি দেশ এখন সংকটের দ্বারপ্রান্তে।
‘আমাদের সম্মিলিতভাবে সংকট মোকাবিলা করতে হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত উপস্থিত ছিলেন।