শেষ পর্যন্ত ওই লড়াইয়ে জয়ী দলের নাম অস্ট্রেলিয়া। এজবাস্টনের পর লর্ডস টেস্টও জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০তে লিড নিয়েছে অসিরা। লর্ডসে তাদের জয় ৪৩ রানের।
বিফলে গেছে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংলিশ অধিনায়ক বেন স্টোকসের বীরত্ব। ১৫৫ রানের চোখ ধাঁধানো এক ইনিংস খেলেও মাথা নিচু করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাকে। তিনি ক্রিজে থাকলে যে গল্পটা অন্যরকম হতে পারতো!
৪ উইকেটে ১১৪ রান নিয়ে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করেছিল ৩৭১ তাড়া করা ইংল্যান্ড। বেন ডাকেট ৫০ আর স্টোকস ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।
সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগানো ডাকেট ৮৩ রান করে জস হ্যাজেলউডের শিকার হন। এরপর জনি বেয়ারস্টোকে অখোলায়াড়সুলভ এক স্টাম্পিং আউট করেন অ্যালেক্স ক্যারে।
ক্যামেরুন গ্রিনের একটি ডেলিভারি ছেড়ে দিয়ে ক্রিজ থেকে কিছুটা বেরিয়ে এসেছিলেন বেয়ারস্টো, যেমনটা ব্যাটাররা বের হন বল শেষ হওয়ার পর। কিন্তু বেয়ারস্টো একটু বের হতেই থ্রো করে স্টাম্প ভেঙে দেন ক্যারে।
যে আউট নিয়ে ঝামেলা তৈরি হয়। আম্পায়াররা রিপ্লে দেখে আউট দেন বেয়ারস্টোকে (১০)। যা নিয়ে অনেকটা সময় অ্যাশেজের মাঠ ছিল গরম।
তবে মাথা গরম করেননি স্টোকস। সপ্তম উইকেটে স্টুয়ার্ট ব্রডকে নিয়ে ১০৩ রানের জুটিতে ম্যাচটা প্রায় ইংল্যান্ডের হাতে নিয়ে আসেন তিনি। কিন্তু ২১৪ বলে ৯টি করে চার-ছক্কায় তাক লাগানো স্টোকসের ইনিংসটা গেছে বিফলে।
হ্যাজেলউড তাকে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ বানানোর পরই আবার ম্যাচ ঘুরে যায় অস্ট্রেলিয়ার দিকে। লোয়ার অর্ডাররা লড়াই আর বেশিদূর টানতে পারেননি। ৩২৭ রানে দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয় ইংল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ১০০.৪ ওভারে ৪১৬/১০ (স্টিভেন স্মিথ ১১০, ট্রাভিস হেড ৭৭; জশ টাঙ ৩/৯৮, ওলি রবিনসন ৩/১০০)
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ৭৬.২ ওভারে ৩২৫/১০ (বেন ডাকেট ৯৮, হ্যারি ব্রুক ৫০, জ্যাক ক্রলি ৪৮; মিচেল স্টার্ক ৩/৮৮)
অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ইনিংস: ১০১.৫ ওভারে ২৭৯/১০ (উসমান খাজা ৭৭, স্টিভেন স্মিথ ৩৪; স্টুয়ার্ট ব্রড ৪/৬৫)
ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংস: ৮১.৩ ওভারে ৩২৭/১০ (বেন স্টোকস ১৫৫, বেন ডাকেট ৮৩; প্যাট কামিন্স ৩/৬৯, স্টার্ক ৩/৭৯)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৪৩ রানে জয়ী।
ম্যাচসেরা: স্টিভেন স্মিথ (অস্ট্রেলিয়া)।