অন্যদিকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টির প্রবণতা খুবই কম। মূলত ঈদের পরদিন থেকে দক্ষিণাঞ্চলে সেভাবে বৃষ্টি নেই। গত কয়েকদিন ধরে ঢাকায়ও ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। ঢাকায় বৃষ্টির প্রবণতা কিছুটা কমেছে। তবে আগামী কয়েক দিনে বৃষ্টির প্রবণতা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
রোববার সকাল ৬টা থেকে সোমবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে সবচেয়ে বেশি ৩০৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। নেত্রকোনায় বৃষ্টি হয়েছে ১০৬ মিলিমিটার। এ সময়ে ঢাকায় ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
আবহাওয়াবিদ খো. হাফিজুর রহমান জানান, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে সক্রিয় এবং দেশের অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয়। উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে এটি।
সোমবার (৩ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে তিনি বলেন, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে।
এ সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে জানিয়ে হাফিজুর রহমান বলেন, পরবর্তী তিন দিন বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।