এ ব্যাপারে মাদ্রিদভিত্তিক ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুনে পর্যন্ত যে পরিমাণ আয় হারিয়েছে, তা পরিমাণের দিক দিয়ে ২০০৯ সালের বৈশ্বিক আর্থনৈতিক সংকটের সময়ের চেয়ে পাঁচ গুণ। বছরের প্রথমার্ধে পর্যটক আগমনের সংখ্যা কমেছে প্রায় ৪৪ কোটি। এদিক থেকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এশিয়ার দেশগুলো।
মূলত নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধে বিশ্বব্যাপী কঠোর লকডাউন পদক্ষেপের পাশাপাশি সীমান্তগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয় ভ্রমণের ওপর। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই এ সময় পর্যটকের সংখ্যায় অভাবনীয় পতন হয়। তবে এখন বিভিন্ন দেশ ধীরে ধীরে লকডাউনসহ বিধিনিষেধ শিথিল করা শুরু করেছে। একই সঙ্গে কিছুটা হলেও গতি ফিরে এসেছে পর্যটন খাতে। কিন্তু সত্যি বলতে পর্যটকদের মধ্যে পূর্ণমাত্রায় আস্থা ফিরে আসেনি। ফলে বছরের বাকি সময়ও খাতটি তুলনামূলক মন্দার ভেতর দিয়েই যাবে। ২০২০ সালে সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যটকের সংখ্যায় প্রায় ৭০ শতাংশ পতন হবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।
২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক পর্যটক সংখ্যায় ৪ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছিল। পর্যটকদের মধ্যে বছরটিতে সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের মধ্যে শীর্ষ ছিল ফ্রান্স। এর পরই তালিকায় অবস্থান ছিল স্পেন ও যুক্তরাষ্ট্রের।