বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে ৪ দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন বুধবার থেকে ধরা হলেও বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। এ সম্মেলন চলবে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিজিবি সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে এ সম্মেলনে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।
বিজিবির অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও বিজিবি সদর দফতরের সংশ্লিষ্ট স্টাফ অফিসার ছাড়াও এ দলে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যৌথ নদী কমিশন এবং ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। সম্মেলনে বিএসএফ মহাপরিচালক রাকেশ আস্থানার নেতৃত্বে ছয় সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধি দল অংশ নিচ্ছে। দলে বিএসএফ সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এবারের সম্মেলনে সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি, হত্যা, আহত করা; সীমান্তের অপর প্রান্ত থেকে বাংলাদেশে ফেনসিডিল, গাঁজা, মদ, ইয়াবা, ভায়াগ্রা-সেনেগ্রা ট্যাবলেটসহ মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের চোরাচালান; অস্ত্র, গোলা-বারুদ ও বিস্ফোরক দ্রব্য পাচার; বাংলাদেশি নাগরিকদের ধরে নিয়ে যাওয়া, আটকে রাখা; অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম; বাংলাদেশে জোরপূর্বক অনুপ্রবেশ করানো; মানসিক ভারসাম্যহীন ভারতীয় নাগরিকদের বাংলাদেশে পুশ-ইন; সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে উন্নয়নমূলক নির্মাণ কাজ; উভয় দেশের সীমান্ত নদীর তীর সংরক্ষণ কাজ; বাংলাবান্ধা আইসিপিতে দর্শক গ্যালারি নির্মাণ; সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে যৌথ টহল পরিচালনা; রিজিয়ন-ফ্রন্টিয়ার পর্যায়ের অফিসারদের নিয়মিত বৈঠক আয়োজন; পার্বত্য অঞ্চলে হিল ফ্লাইং প্রশিক্ষণ ও অপারেশন পরিচালনা এবং উভয় বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ ও বিরাজমান সৌহার্দ্য বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।