ডরিস বলেছেন, ট্রাম্প আমায় চেপে ধরেন। তারপর জোর করে তাঁর জিভ আমার মুখের ভিতরে ঢুকিয়ে দেন। ট্রাম্প এত জোরে চেপে ধরেছিলেন যে আমি ছাড়াতে পারছিলাম না। তাঁর হাত আমার স্তন, পশ্চাৎদেশসহ শরীরের সব জায়গা স্পর্শ করছিল। আমি বারবার তাঁকে থামতে বলেছিলাম, কিন্তু তিনি থামেননি। আমি সে সময় অনেককে এই ঘটনার কথা বলেছিলাম। তাঁদেরকে জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন।
যখন এই ঘটনা ঘটেছিল, তখন তাঁর বয়স ছিল ২৪ বছর। ট্রাম্পের ৫১। তিনি তখন দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। ডরিস এই সাক্ষাৎকার গার্ডিয়ানকে দিয়েছিলেন এক বছর আগে। তাঁর অনুরোধ ছিল, তখন তা যেন ছাপা না হয়। তিনি বলেছেন, ট্রাম্প এই কাজ করার পরেও ছাড়া পেয়ে গেছেন দেখে আমার খুব খারাপ লাগে।
এদিকে ট্রাম্পের আইনজীবী গার্ডিয়ানকে জানিয়েছেন, ডরিস যা বলছেন তা একেবারেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। এরকম ঘটনা ঘটলে তার তো সাক্ষী থাকবে। আগমী ৩ নভেম্বর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার আগে এই ধরনের অভিযোগ পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও একগুচ্ছ অভিযোগ এসেছিল। আমেরিকার কলামনিস্ট ই ক্যারল অভিযোগ করেছিলেন, ট্রাম্প তাঁকে একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের ট্রায়াল রুমে ধর্ষণ করেছিলেন। ২০১৬-র নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের একটা ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়। সেখানে তিনি বলেছিলেন, তাঁর খ্যাতি এতটাই বেশি যে, চাইলে যে কোনো মেয়েকে ধরে তাঁর যৌনাঙ্গে হাত দিতে পারেন। ট্রাম্প প্রথমে এটাকে ‘লকার রুম ব্যান্টার’ বলে উড়িয়ে দিয়েও পরে ক্ষমা চেয়েছিলেন।
তবে প্রশ্ন হলো, ডরিস এতদিন পরে কেন এই অভিযোগ করলেন? তাঁর বক্তব্য, ‘এই ধরনের ঘটনা কারো সঙ্গে ঘটলে সে তখন আতঙ্কে স্তব্ধ হয়ে যায়। আমিও হয়েছিলাম। এখন আমার দুই মেয়ের কাছে রোল মডেল হতে চাই। তাই বলছি।’ সূত্র: এএফপি, ডিডব্লিউ।