এসঅ্যান্ডপি গ্লোবালে দেখা যায়, সৌদি আরবের পিএমআই বেড়ে ৫৯ দশমিক ৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বিপরীতে মে মাসে ছিল ৫৮ দশমিক ৫ পয়েন্ট। পিএমআই ৫০ পয়েন্টের ওপরে থাকলে কারখানার কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও নিচে থাকলে সংকোচন বোঝায়। নতুন কার্যাদেশ, উৎপাদন, কর্মসংস্থান, সরবরাহের সময় ও স্টক লেনদেন পর্যালোচনার মাধ্যমে জরিপটি পরিচালনা করা হয়।
যদিও জুনে পিএমআই ফেব্রুয়ারির তুলনায় কম ছিল। ফেব্রুয়ারিতে পিএমআই ছিল আট বছরের সর্বোচ্চ, ৫৯ দশমিক ৮ শতাংশ। রিয়াদ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ নাইফ আল-গাইস দাবি করেছেন, সৌদি আরবের জ্বালানি তেলবহির্ভূত বেসরকারি খাতের গতি ছিল ঊর্ধ্বমুখী। দ্বিতীয় প্রান্তিকজুড়ে পরিস্থিতি আরো উজ্জ্বল হয়েছে। বেড়েছে নতুন ব্যবসা। গতি পেয়েছে পর্যটন কার্যক্রম। দীর্ঘদিন ধরেই সৌদি আরব জ্বালানি তেলের ওপর একচেটিয়া নির্ভরতা কমানোর দিকে জোর দিয়েছে। বিকল্প হিসেবে বিনিয়োগ করা হচ্ছে পর্যটনসংশ্লিষ্ট খাতগুলোয়। বর্তমান পিএমআই বৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রায় অগ্রগতিকে নির্দেশ করে।
প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, চাহিদা বাড়ায় মার্কেট পরিস্থিতি আগের চেয়ে গতিশীল। বিভিন্ন খাতের গতিশীলতার দরুন বেড়েছে কর্মসংস্থান। ২০১৫ সালের পর দেশটিতে কর্মসংস্থান তৈরির হার জুনে সর্বোচ্চ অবস্থানে পৌঁছেছে। আল-গাইস বলেছেন, ‘সরবরাহ চেইন বাড়তি চাহিদার অনুপাতে শক্তিশালী ছিল, যা ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে উঠেছে। যার কারণে মূল্যবৃদ্ধির ক্ষেত্রে লাগাম পড়েছে।