ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) ডিএমপির কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত “স্পিড এজ এ রিস্ক ফ্যাক্টর”শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি মন্তব্য করেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সড়কে সংঘর্ষের অন্যতম কারণ অতিরিক্ত গতি। গতি বাড়লে সংঘর্ষের তীব্রতা, ইনজুরি ও ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকিও বেড়ে যায়। গতির সাথে সাথে মোটরসাইকেল আরোহী হেলমেট ব্যবহার না করলে এবং গাড়িতে সিটবেল্ট ব্যবহার না করলে সড়কে সংঘর্ষের ভয়াবহতা বেড়ে যায়।
তিনি বলেন, সমাজে সড়ক নিরাপত্তা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রতিদিন, আমরা ট্র্যাফিক দুর্ঘটনার ধ্বংসাত্মক পরিণতি এবং সেগুলো মানুষের জীবনের ক্ষতির সাক্ষী হই। ডিএমপি আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও মঙ্গল নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, আমরা আমাদের শহরের নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থা তৈরির চেষ্টা করছি। আর সড়ক নিরাপত্তার জন্য ট্রাফিক আইনের প্রয়োগের মাধ্যমে পুলিশই অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা আমাদের একত্রিত হওয়ার, জ্ঞান বিনিময় করার এবং আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় পুলিশিং কৌশলগুলো থেকে শেখার সুযোগ তৈরি করেছে। এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তা হিসেবে আমাদের সক্ষমতা বাড়াবে।
তিনি ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (বিআইজিআরএস) এবং গ্লোবাল রোড সেফটি পার্টনারশিপকে (জিআরএসপি) ধন্যবাদ জানান এই আয়োজনের জন্য।
ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি (বিআইজিআরএস)-এর অংশ হিসেবে গ্লোবাল রোড সেফটি পার্টনারশিপ (জিআরএসপি) দুইদিনের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করে।
কর্মশালাটি ১১ এবং ১২ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়। সহকারী পুলিশ সুপার, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর ও সার্জেন্টসহ ডিএমপির মোট ৬০ জন পুলিশ সদস্য এতে অংশ নেন।
এতে গ্লোবাল রোড সেফটি পার্টনারশিপ, ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ রেড ক্রস এবং রেড ক্রিসেন্টের সিনিয়র রোড পুলিশিং উপদেষ্টা রাসেল নাইমান বলেন, ওয়ার্কশপের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হলো একটি সেফ সিস্টেম মডেলের মধ্যে বিদ্যমান এনফোর্সমেন্ট অনুশীলন সম্পর্কে অবহিত করা। এটির লক্ষ্য হলো ট্রাফিক আইন আরও কার্যকরভাবে প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগের বিষয়ে আলোচনা করা, আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় সড়ক পুলিশিং কৌশলগুলির উপর আলোকপাত করা।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান।
বিশেষ অতিথিদের মধ্যে ছিলেন রাসেল নাইমান, সিনিয়র রোড পুলিশিং অ্যাডভাইজার, গ্লোবাল রোড সেফটি পার্টনারশিপ, ভাইটাল স্ট্র্যাটেজির সুগন্থী সারাভানন এবং মো. আব্দুল ওয়াদুদ, ইনিশিয়েটিভ কো-অর্ডিনেটর, খালেদা জেসমিন মিথিলা, কমিউনিকেশন অফিসার, মো. রেজাউর রহমান, ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেটর এবং কামাল আহমেদ, সার্ভিলেন্স কো অর্ডিনেটর।