শনিবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর বনানীতে শেরাটন হোটেলে ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা চেয়েছে। তারা বাংলাদেশের সুন্দর নির্বাচন দেখতে চায়। আমরাও অঙ্গীকার করেছি। নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারে তারা আশ্বস্ত হয়েছেন।
বিএনপির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের নিয়ে কোনো বিতর্ক করতে চাই না। সংলাপ কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোনো ইস্যুতেই তাদের (ইইউ প্রতিনিধি দল) সঙ্গে কথা হয়নি। সংবিধানের বাইরে নির্বাচন কেন্দ্রিক কোনো কিছুই মানি না।
এর আগে দুপুর ১২টায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক প্রতিনিধি দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে বৈঠকে বসে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে বৈঠকে অংশ নেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ জমির, দলের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মি আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, মোহাম্মদ এ আরাফাত এবং তারানা হালিম।
অন্যদিকে রিকার্ডো চেলারির নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলে ছিলেন পাঁচজন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ মূল্যায়ন করতে রিকার্ডো চেলারির নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছয় সদস্যের একটি দল গত রোববার ভোরে ঢাকায় আসে। ২৩ জুলাই পর্যন্ত প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ঢাকায় থাকবেন। এসময় প্রতিনিধি দলটি সরকার, রাজনৈতিক দল, নির্বাচন কমিশন, নিরাপত্তা কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজ এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবেন।