এ ঘটনায় ঢাকা–ময়মনসিংহ রুটে চলাচলকারী সৌখিন পরিবহনের চালক-হেলপারদের অভিযুক্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর একটি অভিযোগপত্র দিয়েছেন আহত শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, সোমবার সকাল ৭টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বনানী ও মহাখালী বাসট্যান্ড এলাকায় ওই হামলা-মারধরের ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থীরা হলেন—বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ১৬তম আবর্তনের শিক্ষার্থী নাইম ইসলাম, আইন বিভাগের ১৫তম আবর্তনের রক্তিম ইউসুফ ও শেখ সাব্বির আহম্মেদ সজল, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞানের ১৬তম আবর্তনের শিক্ষার্থী জুনায়েদ আহমেদ জিদান, রসায়ন বিভাগের ১২তম আবর্তনের শিক্ষার্থী সজিব শাহরিয়ার।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগপত্রে বলা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গাজীপুর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পরিবহনকারী উল্কা-২ বাস বনানী এলাকায় পৌঁছালে পাশ দিয়েই চলাচল করা সৌখিন পরিবহনের একটি বাসের হেলপার কয়েকজন নারী শিক্ষার্থীকে উত্যক্ত করে কটূ কথা বলেন। সেই সময় বাসের কয়েকজন ছাত্র তার প্রতিবাদ করে এই ঘটনার জন্য সৌখিন পরিবহন বাসের অভিযুক্ত হেলপারকে ক্ষমা চাইতে বলেন। পরে তর্ক-বিতর্ক শেষে সেখানেই ঘটনাটির মীমাংসা হয়।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, বনানী থেকে উল্কা-২ বাসটি মহাখালী বাসট্যান্ড এলাকায় এলে সৌখিন পরিবহনের ওই বাসের হেলপার, ড্রাইভার ও সুপারভাইজারের নেতৃত্বে বাসট্যান্ডের শতাধিক হেলপার ও ড্রাইভার শিক্ষার্থীদের ওপর রড ও লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। তাদের আক্রমণে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হন। এদের মধ্যে রডের আঘাতে নাইম ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থীর মাথা ফেটে যায় ও দুই হাতের আঙুল কেটে যায়। তাকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হয়। আরেকজন মাথায় লাঠির আঘাতে আহত হোন। বাকি তিনজনকেও আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ বিষয়ে আহত শিক্ষার্থী সজিব শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা সকালে উল্কা-২ বাসে করে গাজীপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছিলাম। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বনানী এলাকায় এলে সৌখিন পরিবহন বাসটির হেলপার আমাদের কয়েকজন ছাত্রীকে উত্যক্ত করে। আমরা এর প্রতিবাদ করে তাকে ক্ষমা চাইতে বলি। সেখানে ঘটনাটির মীমাংসা হলেও মহাখালী বাসট্যান্ড এলাকার কাছাকাছি এলে সেই বাসের হেলপার ও ড্রাইভারের নেতৃত্বে শতাধিক সন্ত্রাসী আমাদের ওপর রড ও লাঠি নিয়ে হামলা করে। আমাদের বাসও তারা ভাঙচুর করে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নিউটন হাওলাদার বলেন, ‘আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমাদের বাসও ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। প্রক্টরিয়াল বডিকে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’