এ মৌসুমে বাংলাদেশ ছাড়াও কিউইরা খেলবে পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এ ছাড়া মেয়েদের দল খেলবে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ডানেডিন, নেলসন, নেপিয়ার ও মাউন্ট মঙ্গানুই—এ চারটি ভেন্যুতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সীমিত ওভারের ছয়টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই মৌসুম শুরু করবে নিউজিল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট জানিয়েছে, এ মৌসুমে ১০টি ‘ডাবল-হেডার’ রেখেছে তারা। তারা ‘ডাবল-হেডার’ বলছে মূলত একই মাঠে পরপর দুটি ম্যাচ আয়োজনকেই। ভিন্ন ভিন্ন দর্শকের চাহিদা ও জলবায়ু পরিবর্তনের যুগে খেলার সূচি আরও কার্যকর করতে এ পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা। এর মাধ্যমে খেলা-সংশ্লিষ্ট সবার বিমান ও সড়কপথে ভ্রমণ কম হবে বলে মনে করছে বোর্ডটি।
বাংলাদেশের সঙ্গে যেমন নেপিয়ারে পরপর দুটি ম্যাচ খেলবে নিউজিল্যান্ড—২৩ ডিসেম্বর তৃতীয় ওয়ানডের পর ২৭ ডিসেম্বর হবে প্রথম টি-টোয়েন্টি। শেষ দুটি টি-টোয়েন্টি যেমন হবে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে। ৩১ ডিসেম্বর বছরের শেষ ম্যাচটি সেখানেই খেলবে তারা।
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহী ডেভিড হোয়াইট এ প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘শক্তির অপচয় রোধ করার ক্ষেত্রে যে নীতি আমাদের, এ কৌশল সেটিকে সমর্থন করে। খেলার একটি সংস্থা হিসেবে এটিই ঠিক কাজ, বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আমরা যে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছি।’
এ বছরের শেষে নিউজিল্যান্ড সফরে যাবে বাংলাদেশ, সেটি জানা ছিল আগেই। তবে পূর্ণাঙ্গ সূচি ঘোষণা না হওয়াতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজটিই এ বছর বাংলাদেশের শেষ সিরিজ কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল। এখন অবশ্য দেখা যাচ্ছে, তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচই পড়েছে এ বছরই।
এ নিয়ে টানা তৃতীয় বছর নিউজিল্যান্ড সফরে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০২১ সালে তাসমান সাগরপাড়ের দেশটিতে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছিল তারা। ২০২২ সালে দুই দফা নিউজিল্যান্ড সফর করেছিল বাংলাদেশ। বছরের শুরুতে টেস্ট সিরিজের পর শেষ দিকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে এ সংস্করণের একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ।
এদিকে অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে হতে যাওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে একটি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা আছে নিউজিল্যান্ডের। সেটি এখনো নিশ্চিত না হলেও বিশ্বকাপের পর দুটি টেস্ট ম্যাচের সিরিজ আছে এফটিপিতে।