তিনি যে বাইক ভ্রমণ করেছেন তা রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের নামে রেজিষ্ট্রেশন করা প্রথম বাইক। উজ্জ্বল বাইকে চড়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া গিয়েছেন। ঘুরেছেন আমাদের ইতিহাস-ঐতিহ্যখ্যাত অনেক স্থান। ফেসবুকে “ট্র্যাভেলার উজ্জ্বল” নামে তার একটি আইডি রয়েছে। ভ্রমণের আদ্যপান্ত তিনি শেয়ার করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। পথে পথে বাইক চালানোর মাঝে যে অনিঃশেষ আনন্দ তার সবটুকু তিনি নেন প্রাণভরে।
চাকুরী সুবাদে তিনি পরিবার নিয়ে ঢাকাতেই বসবাস করেন। সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়েন প্রিয় ইয়ামাহা এফজেডএস ভার্সন ২ বাইক নিয়ে। ব্যাংকে চাকরি করলেও ভ্রমণ পিয়াসি এই তরুণ থেমে থাকেননি। যখনই সুযোগ পেয়েছেন তখনই পরিকল্পনা করে বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন। পিচ ঢালা পথ আর শস্য শ্যামলা মাঠ-প্রান্তর পেরিয়ে ছুটে চলেছেন এক জেলা থেকে আরেক জেলা। আর এভাবেই ৬৪ জেলার মাটি তিনি স্পর্শ করার দারুন অনুভূতি নিয়েছেন। এ সময় তিনি তার পরিবার ও সহকর্মীদের কাছ থেকে মানসিক সহযোগিতা পেয়েছেন।
তিনি কিশোর বেলা থেকেই তিনি বাইক চালান। সঠিকভাবে বাইক চালানোর কৌশল, নিয়মকানুন তার জানা। ট্রাফিক আইন মেনে তিনি বাইক চালান। মেনে চলেন সকল ধরনের প্রটোকল এবং প্রোটেকশন। বাইক চালাতে চালাতেই একসময় তার মাথায় এলো ৬৪টি জেলা ম্পর্শ করবেন বাইকে চড়ে। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক গত বছর তিনি মুন্সীগঞ্জ জেলা সদর থেকে বাইক নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বেরিয়ে পড়েন। এরপর একেক করে ছোট বড় সব জেলা স্পর্শ করেন। সবশেষে সিরাজগঞ্জ ভ্রমণ সম্পন্ন করেছেন।
বাইকে চড়ে ৬৪টি জেলাতে যাওয়ার স্মৃতি কিভাবে ধরে রেখেছেন জানতে চাইলে উজ্জ্বল জানান, তিনি যে জেলাতে গিয়েছেন সেখানেই স্মারক হিসেবে জেলা সার্কিট হাউজের সামনে ছবি তুলেছেন। দেশের পর এবার উজ্জ্বলের পরিকল্পনা প্রতিবেশী দেশ ভারতে বাইকে চড়ে ভ্রমণ করা। সব প্রস্তুতি তিনি শেষ করেছেন। এখন ট্রাভেল ভিসা পেলেই ভ্রমণ পিয়াসী এই তরুণ ছুটে যাবেন প্রতিবেশী দেশে। দুই সন্তানের জনক উজ্জ্বলের গ্রামের বাড়ী মাগুরা জেলার শ্রীপুর থানা, পূর্ব শ্রীকোল গ্রামে। বাবা মোঃ হাশেম আলী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ভারতের পর উজ্জ্বলের পরিকল্পনা রয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার অন্য কোন দেশে।