সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে মহাব্যবস্থাপক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করেছেন রূপালী ব্যাংকের উপমহাব্যবস্থাপক তানভীর হাসনাইন মইন। পদোন্নতি পেয়ে তিনি একই ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে যোগদান করেছেন।
পদোন্নতির আগে তানভীর হাসনাইন মইন রূপালী ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ের শিল্প ঋণ বিভাগের প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ১৯৯৮ সালে ব্যাংকার্স রিক্রুটমেন্ট কমিটির (বিআরসি) মাধ্যমে প্রবেশনারি সিনিয়র অফিসার হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে রূপালী
ব্যাংকে কর্মজীবন শুরু করেন।
দীর্ঘ ২৫ বছরের কর্মজীবনে তিনি বিভিন্ন সময়ে শাখা ব্যবস্থাপক, জোনাল ম্যানেজার এবং বিভাগীয় প্রধান হিসেবে সততা, নিষ্ঠা ও সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে তিনি বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যাংক কর্তৃক শ্রেণীকৃত ঋণ আদায়, ডিপোজিট কালেকশন ও লোকসানী শাখাকে লাভজনক করায় একাধিকবার পুরস্কৃত, প্রশংসিত ও অভিনন্দিত হয়েছেন। তিনি ২০২১ সালে রূপালী ব্যাংকের ঢাকা উত্তর বিভাগের সেরা জোনাল ম্যানেজার হিসেবে পুরস্কৃত ও অভিনন্দিত হন। এছাড়াও তিনি করোনাকালীন সময়ে ব্যাংকিং সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য রোটারী ইন্টারন্যাশনাল কর্তৃক ‘কোভিড হিরো অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করেন।
তিনি একজন রোটারীয়ান ও রোটারী ক্লাব অব ঢাকা উদয়ন এর পাস্ট প্রেসিডেন্ট। তিনি নারায়ণগঞ্জবাসী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের সংগঠন ‘আনন্দ’ এর একজন প্রাক্তন সভাপতি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এক্স স্টুডেন্ট ক্লাব, নারায়নগঞ্জের ডিরেক্টর অব ফিন্যান্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
তানভীর হাসনাইন মইন নারায়ণগঞ্জ বার একাডেমি হতে এসএসসি ও নটরডেম কলেজ থেকে এইচ এসসি পাশ করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এবং উত্তরা বিশ্ববিদ্যালয় হতে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও দি ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ হতে তিনি পেশাগত ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষায় উভয় পর্বে উত্তীর্ণ। তিনি পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দেশ ও বিদেশে আয়োজিত বিভিন্ন সভা, সেমিনার ও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন।
অভিজ্ঞ এ ব্যাংকার ২০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ সালে কলেজ রোড, নারায়নগঞ্জের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা বিশিষ্ট শিক্ষক মইন উদ্দিন আহমেদ এবং মাতা প্রিন্সিপাল মমতাজ বেগম। ব্যক্তি জীবনে তাঁর সহধর্মিণী লুনা তাসনিম হক এবং তিনি এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক।
অর্থসংবাদ/এসএম