বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াসহ নানা মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। এ কারণে নজরে পড়ে সবার। আর আলোচনা শুরু হতেই বিষয়টি যাচাই-বাছাই শুরু করে সমসাময়িক আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে কাজ করা প্লাটফর্ম ব্লিটজ। জাতিসংঘের কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ করে ব্লিটজ প্রতিষ্ঠানটি।
ব্লিটজ এক প্রতিবেদনে জানায়, জায়েদ খানকে পুরস্কার দেয়া ‘ইনস্টিটিউট অব পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি রিসার্চ’ প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে জাতিসংঘের কোনো প্রকার সম্পৃক্ততা নেই। মূলত প্রতিষ্ঠানটি জাতিসংঘের একটি হলরুম ভাড়া নিয়ে বিভিন্নজনকে পুরস্কার দিয়ে থাকে। কয়েকজন পেশাদার মানুষের উদ্যোগে ২০২২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সংগঠনের নামে একটি ডোমেইন নিয়ে ওয়েবসাইট চালু করা হয়। এরপর থেকে অনেক মানুষকে ‘আজীবন সম্মাননা’ পুরস্কার দিয়ে আসছেন আয়োজকরা।
পুরস্কারের তালিকায় অনেক বড় ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও রয়েছেন। এ তালিকায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নামও রয়েছে। তবে এই পুরস্কার সম্পর্কে হোয়াইট হাউজ থেকে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, নিউইয়র্কে ছাড়াও সুইজারল্যান্ড এবং লুক্সেমবার্গেও প্রতিষ্ঠানটির একটি অফিস রয়েছে। তবে সুইজারল্যান্ড ও লুক্সেমবার্গের অফিসের সুনির্দিষ্ট কোনো ঠিকানা উল্লেখ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।
২০২২ সালে ওয়েবসাইট চালু হলেও প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে ২০১৭ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কার্লোস ম্যানুয়েল প্যারেজ গঞ্জালেস নামে এক ব্যক্তি এই প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট এবং ড. অ্যান্ড্রিজ বেস নামে আরেকজন এটির প্রতিষ্ঠাতা। আন্তর্জাতিক পরিচালক হিসেবে নাম উল্লেখ আছে ফ্রেডেরিক অর্ডিন্স নামে একজনের।
বিষয়টির অনুসন্ধান করতে গেলে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র ব্লিটজকে জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে এ ধরনের নামসর্বস্ব অসংখ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলো মূলত আফ্রো-আমেরিকানরা পরিচালনা করেন। মূলত অর্থের বিনিময়ে সম্মাননা দিয়ে তারা আয় করেন। আর গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতেই তারা জো বাইডেনের মতো বড় বড় ব্যক্তিদের নামও পুরস্কারের তালিকায় যুক্ত করেন।