হিলি বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। দিন গেলেই দাম বাড়ছে, তখন কিছুটা হলেও পেঁয়াজের দাম নিয়ে স্বস্তি ফিরেছে।’
অন্য ক্রেতা রহিমা খাতুন বলেন, ‘পেঁয়াজ নিত্যপ্রয়োজনীয় যে কয়েকটি পণ্য রয়েছে তার মধ্যে অপরিহার্য। যে হারে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, তাতে আমাদের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে বাড়তি দামের কারণে চাহিদামতো কিনতেও পারছি না। তবে পেঁয়াজের দাম অনেকটা কমে এসেছে।’
হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা শাকিল খান বলেন, ‘স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত। আগের তুলনায় আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। যে কারণে বাজারে চাহিদার তুলনায় পেঁয়াজের যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে। আমরা বন্দর থেকে কম দামে কিছুটা নিম্নমানের ব্যালেন্স পেঁয়াজগুলো কিনে বাজারে কম দামেই বিক্রি করছি। দেশীয় পেঁয়াজ না থাকার কারণ হলো বাড়তি দাম।’
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে ছয়দিন বন্ধের পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরুর পর থেকেই বন্দর দিয়ে বাড়তি পরিমাণে আমদানি অব্যাহত। ফলে দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতির দিকে। সেই সঙ্গে ভারতের মোকামে বৃষ্টিপাতের মধ্যেই পেঁয়াজের লোডিং হওয়ায় এবং অতিরিক্ত গরমের কারণে আমদানীকৃত পেঁয়াজের মান কিছুটা খারাপ। এর ওপর দেশেও অতিরিক্ত গরম। পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে লোকশানের আশঙ্কায় কম দামেই বিক্রি করে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।’
বন্দর দিয়ে নাসিক ও ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত। বেশ কিছুদিন ধরেই দাম স্থিতিশীল। বর্তমানে বন্দরে পাইকারিতে (ট্রাকসেল) ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ ২৭-২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া নাসিক জাতের পেঁয়াজ ৩০-৩১ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘ঈদের বন্ধ শেষে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি শুরুর পর থেকেই পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত। তবে আমদানির পরিমাণটা আগের তুলনায় বেড়েছে। আগে যেখানে বন্দর দিয়ে ২৫-৩০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হতো, সেখানে ঈদের পর ৪০-৫০ ট্রাক পর্যন্ত আমদানি হয়েছে। এমনকি বন্দর দিয়ে একদিনেই ৭৮ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানির রেকর্ড হয়েছে।’ বন্দর দিয়ে গত শনি-বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছয় কর্মদিবসে ২০৮টি ট্রাকে ৬ হাজার ৩২০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।