তবে এর আগের সপ্তাহে দেশটির বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছিল। ১৪ জুলাই শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশটির বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ১২ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন বা ১ হাজার ২৭৪ কোটি ডলার বেড়েছিল।
এ ছাড়া রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার পরিসংখ্যান অনুসারে, ভারতের বিদেশি মুদ্রায় রক্ষিত সম্পদের পরিমাণও কমেছে। ২১ জুলাই শেষ হওয়া সপ্তাহে ভারতের বিদেশি মুদ্রায় রক্ষিত সম্পদের পরিমাণ ২৪১ কোটি ডলার কমেছে। এই সম্পদের মূল্য ডলারে প্রকাশিত হলেও ইউরো, পাউন্ড ও ইয়েনের মতো মুদ্রার দরপতন ও উত্থানের প্রতিফলন এতে দেখা যায়।
তবে ভারতের সোনা রিজার্ভের পরিমাণ বেড়েছে। ২১ জুলাই শেষ হওয়া সপ্তাহে দেখা গেছে, ভারতের সোনা রিজার্ভের পরিমাণ ৪১ কোটি ৭০ লাখ ডলার বেড়েছে। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) এসডিআরের পরিমাণ ১১ মিলিয়ন বা ১ কোটি ১০ লাখ ডলার কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন বা ১ হাজার ৮৪৭ কোটি ডলার।
সামগ্রিকভাবে আইএমএফের অনুমোদিত মুদ্রায় রক্ষিত ভারতের রিজার্ভের পরিমাণ ২ কোটি ১০ লাখ ডলার বৃদ্ধি পেয়ে ৫২০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে।
২০২১ সালের অক্টোবর মাসে ভারতের বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড উচ্চতায় ওঠে। তখন রিজার্ভ দাঁড়ায় ৬৪৫ বিলিয়ন বা ৬৪ হাজার ৫০০ কোটি ডলারে। কিন্তু এর পর থেকে রুপির দরপতন ঠেকাতে আরবিআই ডলার বিক্রি শুরু করে; সেই সঙ্গে নানা বৈশ্বিক কারণেও ভারতের রিজার্ভ কমেছে।
তবে অনেক বিশ্লেষক বলেন, রিজার্ভ ১ শতাংশের কম হারে কমলে তা কোনো উল্লেখযোগ্য বিষয় নয়। এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, প্রতি সপ্তাহেই তা বাড়ে–কমে। ১ শতাংশের বেশি কমলে তখন তা গ্রাহ্য করার বিষয় হয়।