এবার যুক্তরাষ্ট্রে হলো প্রীতি নামধারী এল ক্লাসিকো। দুর্দান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাই ছিল অনুমিতভাবে। বলের দখলে দাপট দেখিয়েছে বেনজেমা-উত্তর রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু ফিনিশিংয়ে সাফল্যের ব্যবধানে জাভির বার্সেলোনার কাছে লস ব্লাঙ্কোসরা উড়ে গেছে ৩ গোলে।
রিয়াল-বার্সার সমর্থকদের চোখ ছিল টেক্সাসের এটি অ্যান্ড টি স্টেডিয়ামে। ৮২ হাজারেরও বেশি দর্শকের সামনে এদিন মার্কিন মুল্লুকে হয়েছে ক্লাব ফুটবলে দ্বৈরথের শেষ কথা, এল ক্লাসিকো। রিয়াল-বার্সা দুই ক্লাবের জন্যই মৌসুমটা শুরু হচ্ছে অনেকটাই নতুনভাবে।
সার্জিও বুসকেটস-জর্দি অ্যালবারা বার্সা ছেড়েছেন, এসেছেন ইলকায় গুন্দোয়ান, অরিওল রোমিওদের মতো খেলোয়াড়রা। অন্যদিকে করিম বেনজেমা চলে যাওয়ার পর নতুন ফরমেশনের খোঁজে আছেন কার্লো আনচেলত্তি। শুরুর একাদশে ছিলেন ইংলিশ তারকা জুড বেলিংহাম।
ম্যাচের ৩ মিনিটের মাথাতেই লিড পেতে পারত বার্সা। ওরিল রোমিওর বুলেট গতির শট ফিরে আসে গোলপোস্ট কাঁপিয়ে। তবে গোলের জন্য খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি জাভির দলকে। ১৫ মিনিটে বক্সের ডানপ্রান্ত থেকে ওসমান ডেম্বেলের তীব্র শটে পরাস্ত হন রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কর্তোয়া।
কিছুক্ষণ পরেই সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ পায় রিয়াল মাদ্রিদ। পেনাল্টি পান লস ব্লাঙ্কোসরা। কিন্তু স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন ভিনিসিয়াস জুনিয়র। প্রথমার্ধে দুদলই গোলের আরও কিছু সুযোগ নষ্ট করলে ১ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় বার্সা।
দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধে মরিয়া হয়ে আক্রমণ শানায় রিয়াল। কিন্তু বার্সার ডিফেন্সের সঙ্গে গোলবারের নিচে মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগেন এদিন ছিলেন দুর্ভেদ্য এক প্রাচীর। সেই সঙ্গে ভাগ্যদেবীও যেন রিয়ালের সঙ্গে অসহযোগিতার চুক্তি করেছিলেন! নইলে বলের দখল, গোলপোস্টে শট কোনো
কিছুরই ফল কেন থাকবে না স্কোরশিটে! উল্টো ৮৫ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে ফারমিন লোপেজ মার্টিনের বাঁ পায়ের বুলেট গতির শট লাফিয়েও আটকাতে পারেননি কর্তোয়ার বদলি হিসেবে নামা লুনিন।
ম্যাচ এখানেই শেষ হয়নি। ইনজুরি টাইমে ফেরান তোরেস স্কোরশিটে নাম তুললে ৩-০’র বড় জয় পান কাতালান জায়ান্টরা। ৫৩ শতাংশ বলের দখল রেখে রিয়াল পুরো ম্যাচে শট নেয় ২৯টি। এর মাত্র ৫টিই তারা লক্ষ্যে রাখতে পেরেছে।
অন্যদিকে ১২টি শট নিয়ে ৭টিকেই অন টার্গেট রাখে বার্সেলোনা। দূরপাল্লার শটের সঙ্গে ফেরান তোরেসের ফিনিশিংয়ে দেখার বিষয় ছিল, ঠাণ্ডা মাথায় গোলের ঠিকানা বের করতে পারছেন কাতালান জায়ান্টরা।