কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, ডিজিটাল ব্যাংক গঠনের জন্য আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে পুরোপুরি অনলাইনের মাধ্যমে। এ জন্য সম্ভাব্য উদ্যোক্তাদের কেউ এখনো আবেদন জমা দিতে পারেননি। তাঁরা এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে যোগাযোগ করছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিজিটাল ব্যাংকের লাইসেন্স প্রাপ্তির আবেদনের লক্ষ্যে সব আবেদনকারীর পূর্ণাঙ্গ ও মানসম্মত প্রস্তাবনা তৈরি এবং বিভিন্ন দলিল সংগ্রহের বিষয়টি বিবেচনা করে আবেদনপত্র দাখিলের সময়সীমা ১৭ আগস্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে আবেদনের অন্যান্য শর্তাবলি অপরিবর্তিত থাকবে।
কিছুদিন আগে ডিজিটাল ব্যাংক স্থাপনের নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই ব্যাংকের কোনো শাখা, উপশাখা, এটিএম বুথ বা কোনো স্থাপনা থাকবে না। মুঠোফোন অথবা ডিজিটাল যন্ত্র ব্যবহার করেই গ্রাহকদের ব্যাংক সেবা দেওয়া হবে। এটি গঠনে বিনিয়োগ করতে হবে ১২৫ কোটি টাকা, আর ব্যাংকের পরিচালক হতে লাগবে কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, ডিজিটাল ব্যাংক পরিচালনার জন্য একটি প্রধান কার্যালয় থাকবে। তবে সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এটি হবে স্থাপনাবিহীন; অর্থাৎ এই ব্যাংক কোনো ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) সেবা দেবে না। এর নিজস্ব কোনো শাখা বা উপশাখা, এটিএম, সিডিএম অথবা সিআরএমও থাকবে না। সব সেবাই হবে অ্যাপনির্ভর, মুঠোফোন বা ডিজিটাল যন্ত্রে। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই সেবা মিলবে।
গ্রাহকদের লেনদেনের সুবিধার্থে ডিজিটাল ব্যাংক ভার্চ্যুয়াল কার্ড, কিউআর কোড ও অন্য কোনো উন্নত প্রযুক্তিভিত্তিক পণ্য দিতে পারবে। লেনদেনের জন্য কোনো প্লাস্টিক কার্ড দিতে পারবে না। অবশ্য এই ব্যাংকের সেবা নিতে গ্রাহকেরা অন্য ব্যাংকের এটিএম, এজেন্টসহ নানা সেবা ব্যবহার করতে পারবেন। ডিজিটাল ব্যাংক কোনো ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারবে না। তারা বড় ও মাঝারি শিল্পেও কোনো ঋণ দিতে পারবে না, শুধু ছোট ঋণ দিতে পারবে।