দেশদুটিতে আল-মুসহাফ আশ-শরীফ পোড়ানোর বিরুদ্ধে ওআইসির বিশেষ অধিবেশন ডাকায় সৌদি আরবের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মোমেন। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ইসলামকে শান্তি, সমৃদ্ধি ও ভ্রাতৃত্ববোধের ধর্ম আখ্যায়িত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোরআন ও হাদিসের মাধ্যমে মানুষের জীবন-জীবিকার নির্দেশনা দিয়েছে ইসলাম। যা পুরো মানবজাতির জন্য ন্যায়সঙ্গত, সম্মানজনক ও সমমর্যাদার।
‘বাংলাদেশ একটি ধর্মনিপেক্ষ দেশ, যেখানে সব ধর্মের পবিত্রতা রক্ষার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। যেসব মূল্যবোধের ওপর ভিত্তি করে আমাদের সমাজব্যবস্থা গড়ে ওঠেছে, তার একটি হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম এমন কথা উচ্চারণ করেন, যা আমাদের সংবিধানেও যুক্ত করা হয়েছে,’ যোগ করেন ড. মোমেন।
এ সময়ে বাক-স্বাধীনতার ছুতোয় মুসলমানদের ধর্মীয় প্রতীক ও মূল্যবোধকে অবমাননার মতো এমন ইসলামবিদ্বেষী কর্মকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পারস্পরিক সম্মান, সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের স্বার্থে এসব অযৌক্তিক উসকানি বন্ধ করার আহ্বান জানান তিনি।
অজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে সুইডেন ও ডেনমার্কে এসব ইসলামবিদ্বেষী কর্মকাণ্ড ঘটে বলে মত দেন বাংলাদেশের শীর্ষ এ কূটনীতিক। ইসলামকে ঘিরে যে ভুল বোঝাবুঝি আছে, তা দূর করতে পবিত্র কোরআনের প্রকৃত শিক্ষা তুলে ধরতে ওআইসি সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মোমেন বলেন, আলেমরা যদি কোরআনের বাণী সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেন, তাহলে ইসলাম নিয়ে ভুল ধারণা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। পারস্পরিক বোঝাবুঝি ও সহনশীলতা বাড়াতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিও তিনি জোর দেন।
ওআইসির ভার্চুয়াল বৈঠকে নর্ডিক দেশদুটিতে আল-মুসহাফ আশ-শরীফ পোড়ানো ও অবমাননার বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। পাশাপাশি আল-আকসা মসজিদে ইসরায়েলি দখলদার সরকারি কর্মকর্তাদের অনুপ্রবেশের নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।