মঙ্গলবার (১ আগস্ট) ডেসটিনির পরিচালনা পর্ষদের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার মেজবাহুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ডেসটিনির পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সর্বসম্মতিতে ফখরুদ্দিন আহমেদকে চেয়ারম্যান করার সিদ্ধান্ত নেন। পরে লিখিতভাবে বিষয়টি আদালতকে জানানো হয়। গত ২৫ জুলাই হাইকোর্ট ফখরুদ্দিন আহমেদকে ডেসটিনির পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে অনুমোদন দিয়েছেন।
এর আগে ডেসটিনি পরিচালনার জন্য হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন এর চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও পরিচালক ব্যারিস্টার মারগুব কবির। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে গত ৩১ মে হাইকোর্টে তাদের পদত্যাগপত্র জমা দেন এ দুই সদস্য। এরপর গত ১৪ জুন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে পদত্যাগপত্র উপস্থাপন করা হয়।
পদত্যাগপত্রে বলা হয়েছে, আদালতের প্রতি যথাযথ সম্মান দেখিয়ে তারা এ কোম্পানির পরিচালনার দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করেছেন। তবে, পারিবারিক কারণে এখন দায়িত্ব পালনে তারা অপারগ।
গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর ডেসটিনি পরিচালনার জন্য ১৯ সদস্যের একটি স্বাধীন বোর্ড গঠন করে দেন হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে এ বোর্ডকে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা করার অনুমতি দেওয়া হয়। এ পর্ষদ এখন পর্যন্ত চারটি বোর্ড মিটিং করেছে। এছাড়া কোম্পানির বিভিন্ন বিষয়ের জন্য অডিট কমিটিসহ চারটি সাব-কমিটিও গঠন করেছেন তারা।
যদিও ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর রেজিস্ট্রেশন পায় ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড। কোম্পানিটির মোট শেয়ারহোল্ডার ৪৯ জন। তার পরে ২০১২ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত এজিএম করার জন্য ১৬ জন আদালতে আবেদন করেছিলেন। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন এবং বোর্ড পুনর্গঠন করে দেন।
হাইকোর্টে আবেদনকারীরা হলেন— ডেসটিনির পরিচালক বিপ্লব বিকাশ শীল, মোহম্মদ জাকির হোসেন, মো. শাহিনুর হাওলাদার শাহীন, সাইফুল আলম রতন, জিএম গোলাম রাব্বানী, শামনুন এহসান শামীম, মাসুদা ইসমত আরা, জাহাঙ্গীর আলম, মহিউদ্দিন আহমেদ, জহিরুল ইসলাম, খায়রুন নেসা, সৈয়দ মোহাম্মদ ইকবাল, শাহজাদা আল মাহমুদ, হোসাইন আজাদ, কামরুল হাসান ও মো. জাহাঙ্গীর আলম।
২০২২ সালের ১ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীকে চেয়ারম্যান করে ডেসটিনি-২০০০ এর পরিচালনায় বোর্ড পুনর্গঠন করে করেছিলেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের একক (কোম্পানি) বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতের নির্দেশে গটিত বোর্ডের অন্যান্য সদস্যরা হলেন— সাবেক জেলা জজ হাসান শহীদ ফেরদৌস, ব্যারিস্টার মারগুব কবির, ফখরুদ্দিন আহমেদ এফসিএ, ইকবাল জামান।