লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে মাছ, মাংস, ডিম, আলু, পেঁয়াজসহ বেশিরভাগ পণ্যের দামের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি হচ্ছে। চড়া দ্রব্যমূল্য উসকে দিচ্ছে মূল্যস্ফীতিকে। মূল্যস্ফীতির কষাঘাতে পিষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষ। গত কয়েক মাস ধরে ৮ শতাংশের বেশি হারে মূল্যস্ফীতি হচ্ছে। গত জুন মাসেও মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এতে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমছে, যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে রেস্তোরাঁ খাতে।
ইমরান হাসান বলেন, বেশিরভাগ রেস্তোরাঁর দৈনিক বিক্রি অনেকাংশে কমে গেছে। যা করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত রেস্তোরাঁ খাতের জন্য ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’র মতো। এ অবস্থায় কার্যকর বাজার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ জরুরি। তাই গরু ছাগল ও পোলট্রি মুরগির মাংস আমদানি করার অনুমতি দিতে হবে।
তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের বাজারে বিদ্যমান সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি ছাড় দিয়ে দ্রব্যমূল্য কমানোর উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে টিসিবির মাধ্যমে রেস্তোরাঁ খাতে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপণ্য বিতরণের দাবি করছি। এ অর্থনৈতিক সংকটকালীন সময়ে রেস্তোরাঁ খাত টিকিয়ে রাখতে, ট্যাক্স ছাড়ের পাশাপাশি ট্যাক্সের হার কমানোর প্রস্তাব করছি। একই সঙ্গে ট্যাক্স আদায়ের নামে মাঠ পর্যায়ে কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের হয়রানি থেকে রক্ষার দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সভাপতি ওসমান গনি, যুগ্ম সচিব ফিরোজ আলম সুমন প্রমুখ।