ইলেকটোরাল কমিশন জানায়, ২০২১ সালের এই ঘটনা তারা গত বছর উদ্ঘাটন করতে পেরেছে। এই বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
তবে গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যুক্তরাজ্যের চার কোটি ভোটারের তথ্যভান্ডারে চালানো সাইবার হামলার কোনো কুলকিনারা এক বছরেও করা যায়নি। এই ঘটনায় জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়েছে ইলেকটোরাল কমিশন।
ইলেকটোরাল কমিশনের প্রধান নির্বাহী শন ম্যাকনেলি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা জানি, শত্রুরা কিসের নাগাল পেয়েছিল। কিন্তু ঠিক কোন ধরনের ফাইলে তারা ঢুকতে পেরেছিল বা আদৌ পেরেছিল কি না, সেই ব্যাপারে আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি।’
প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এ ঘটনা আবারও দেখিয়ে দিয়েছে যে যুক্তরাজ্যের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো এখনো হ্যাকারদের লক্ষ্যবস্তু।
এর আগে ২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জেতাতে রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছে, এমন তথ্য উদ্ঘাটিত হওয়ার পর পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে নির্বাচনী ব্যবস্থার নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
২০২০ সালে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের একটি কমিটি জানিয়েছিল, স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রশ্নে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত গণভোটেও রাশিয়া হস্তক্ষেপ করেছিল। একই অভিযোগ আছে ব্রেক্সিট গণভোট নিয়েও।
অর্থসংবাদ/এমআই