পোশাক খাতে রপ্তানি আয় কমেছে ৫২ কোটি ডলার

পোশাক খাতে রপ্তানি আয় কমেছে ৫২ কোটি ডলার

তৈরি পোশাক খাত থেকে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) রপ্তানি আয় হয়েছিলো এক হাজার ২২৫ কোটি ৫৭ লাখ ডলার। পরের তিন মাসে এই খাতের আয় হয়েছে এক হাজার ১৭৩ কোটি ৯১ লাখ ডলার। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে পোশাক খাতের রপ্তানি আয় কমেছে ৫১ কোটি ৬৬ লাখ ডলার।


সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।


তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৩ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) রেডিমেড গার্মেন্টস (আরএমজি) থেকে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে এক হাজার ১৭৩ কোটি ৯১ লাখ ডলার। এর আগের প্রান্তিকে যা ছিল এক হাজার ২২৫ কোটি ৫৭ লাখ ডলার। হিসাব অনুযায়ী তিন মাসের ব্যবধানে পোশাক খাত থেকে রপ্তানি আয় কমেছে ৫১ কোটি ৬৬ লাখ ডলার বা ৪ দশমিক ২২ শতাংশ। বছরের প্রথম তিন মাসে তৈরি পোশাকের একটি ধরন ওভেন থেকে আয় হয়েছে ৫১৩ কোটি ৮৪ লাখ। এছাড়া নিটওয়্যার থেকে আয় হয়েছে ৬৬০ কোটি ডলার।


দ্বিতীয় প্রান্তিকে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, কানাডা এবং বেলজিয়াম ছিল বাংলাদেশের আরএমজি রপ্তানির শীর্ষ গন্তব্য। এই নয়টি দেশ থেকে বাংলাদেশ ৮৩২ কোটি ৯১ লাখ মার্কিন ডলার আয় করেছে। হিসাব অনুযায়ী যা মোট আরএমজি রপ্তানির প্রায় ৭১ শতাংশ।


বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল-জুন সময়ে আরএমজি খাতে মোট রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এক হাজার ২৬৯ কোটি ৭৩ লাখ ডলার। সেখানে আয় হয়েছে এক হাজার ১৭৩ কোটি ৯১ লাখ ডলার। অর্থাৎ আলোচিত সময়ে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ দশমিক ৫৫ শতাংশ কম আয় হয়েছে।


করোনার পরে বাংলাদেশে আরএমজি খাত পুনরুদ্ধারের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। চলমান রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে পণ্য সরবরাহে ব্যাঘাতের প্রভাব, বৈশ্বিক মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি এবং ফেড কর্তৃক আর্থিক নীতি কঠোর করার মতো চ্যালেঞ্জগুলো আলোচিত এই খাতের অগ্রগতিকে প্রভাবিত করতে পারে। এই চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে এবং রপ্তানি আয় বৃদ্ধির জন্য, দেশে তৈরি পোশাকে বৈচিত্র্য, উত্পাদনশীলতা, দক্ষতা বৃদ্ধি, পণ্যের উদ্ভাবন, নতুন বিশ্ব বাজার অন্বেষণ এবং এমজি কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে জানিয়েছিলো বাংলাদেশ ব্যাংক।


এদিকে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, সমাপ্ত ২০২২-২৩ পুরো অর্থবছরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক দুর্বল আর্থিক পরিস্থিতির মধ্যেও দেশে রেকর্ড পরিমাণ ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের রপ্তানি আয় এসেছিলো। মূলত পোশাক রপ্তানির ওপর ভর করে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রপ্তানি আয় অর্জিত হয়েছে গত বছর, যা আগের বছরের (২০২১-২২) তুলনায় ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি। বিদায়ী অর্থবছরে পোশাক রপ্তানির আয় দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৯৯ কোটি ১৬ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে পোশাক রপ্তানির আয় ছিল ৪ হাজার ২৬১ কোটি ৩১ লাখ ডলার।


অর্থসংবাদ/এসএম

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

তিন দেশ থেকে ২ লাখ ১০ হাজার টন সার কিনবে সরকার
মন্দিরে দায়িত্বরত পুলিশের গুলি চুরি, ওসিসহ ৮ জন প্রত্যাহার
৫ আগস্টের পর চাঁদাবাজি বেড়েছে: অর্থ উপদেষ্টা
দুর্গাপূজার ছুটিতে শুল্ক স্টেশনে চালু থাকবে আমদানি-রপ্তানি
আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি হবে ৫ শতাংশ: এডিবি
স্মারক রৌপ্য মুদ্রার দাম বাড়লো
ফের বাড়লো স্বর্ণের দাম, ভরি ১ লাখ ৯৫ হাজার
তিন প্রকল্পে ৩ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা দেবে এডিবি
দেশের সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ মঙ্গলবার
রোহিঙ্গাদের জন্য ৩.৪ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে জাপান