আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ মনে করছেন, মহাসমাবেশ কিংবা নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীর মধ্যে নতুন করে বড় ধরনের উদ্দীপনা তৈরি হবে। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-বিবাদ মিটিয়ে নেতাকর্মীরা দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনী প্রচারসংক্রান্ত কর্মকাণ্ডে ঝাঁপিয়ে পড়বেন বলে নেতারা আশা করছেন।
সিলেটের নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী জানান, আগামী ২ সেপ্টেম্বর সিলেট সফরে আসার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। আকস্মিক বন্যার পাশাপাশি বিরূপ আবহাওয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রীর ওই সফর আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্য সেপ্টেম্বরের দিকে আমেরিকা সফরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই সফরের পর তিনি অক্টোবর মাসের প্রথম দিকে সিলেট সফরে আসতে পারেন। আওয়ামী লীগের সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনও একই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন নীতিনির্ধারক নেতা মনে করছেন, আগামী অক্টোবর মাসের প্রথম থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করা হবে। এরই অংশ হিসেবে সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ আসনের বর্তমান এমপি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আগামী নির্বাচনে তিনিই দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন বলে স্থানীয়ভাবে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বর সিলেটে জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন।
বরিশাল ও খুলনায় মহাসমাবেশ
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের পর খুলনা ও বরিশালে বিভাগীয় মহাসমাবেশ করবেন। এর পর পর্যায়ক্রমে অন্য বিভাগগুলোতে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও রংপুরে বিভাগীয় মহাসমাবেশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আজ, চিঠি পাচ্ছেন ভারপ্রাপ্তরা
আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠেয় এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
সভায় দলের সব পর্যায়ে দায়িত্বরত ভারপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দ বিশেষ করে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকদের ভারমুক্ত করে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানা গেছে। এর আগে গত ৬ আগস্ট দলের বিশেষ বর্ধিত সভায় ভারপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দকে ভারমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। তাঁর এ ঘোষণা দলের তৃণমূল পর্যায়ের রাজনীতিতে বিশেষ গতি আনবে বলে নেতৃবৃন্দ মনে করছেন। সেই সঙ্গে আগামী নির্বাচনে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডেও বড় ধরনের ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলেও দলীয়ভাবে ধারণা করা হচ্ছে।