8194460 উপকূলে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশ - OrthosSongbad Archive

উপকূলে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশ

উপকূলে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরা পড়ছে ইলিশ
সাগর থেকে ধরা পড়া ইলিশের পরিমাণ বাড়ায় পটুয়াখালী উপকূলের কুয়াকাটা, মহিপুর, আলীপুর, খালগোড়া এলাকার আড়তগুলো কেনা-বেচা জমে উঠেছে। তবে দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় মাছের মোকাম হিসেবে পরিচিত মহিপুর ও আলীপুর মৎস্য বন্দরের আড়তগুলোতে মাছ আসছে অনেক। ৬৫ দিনের অবরোধ উঠে যাওয়ার পর জেলেরা সাগরে নামতে না নামতেই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় পড়ে কূলে ফিরে আসেন। আবহাওয়া অনুকূলে আসার পর জেলেরা আবার সাগরে ফিরে যান। এবার সবাই কম-বেশি ইলিশ নিয়ে কূলে ফিরছেন।

সাগরের কূলঘেঁষা এসব আড়তে ইলিশের সরবরাহ বাড়লেও কলাপাড়া পৌর শহরের লঞ্চঘাট এলাকার মাছবাজার, এতিমখানা মোড় ও নিশানবাড়িয়া ব্রিজ-সংলগ্ন মাছের সন্ধ্যা বাজারে সেভাবে ইলিশ দেখা যাচ্ছে না। স্বল্প পরিমাণে ইলিশ এসব বাজারে উঠলেও দাম অনেক বেশি বলে ক্রেতাদের দাবি।

মাছের আড়তদারদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, এবার ৮০০ গ্রাম, ৯০০ গ্রাম ও ১ কেজি আকারের ইলিশ ৪৭ থেকে ৪৮ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে। ১ কেজি ২০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ৩০০ গ্রাম আকারের ইলিশ ৬০ থেকে ৬১ হাজার টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে।

আলীপুরের সরকারি মৎস্য বাজারজাত কেন্দ্রের পরিসংখ্যান তুলে ধরে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, এফবি জুবায়ের ইসলাম-২ ট্রলারটি ৭০ মণ ইলিশ নিয়ে এসেছে। ২৫ লাখ টাকায় এই মাছ বিক্রি হয়েছে। এফবি বিলকিস-১ নামের ট্রলার ৬০ মণ ইলিশ নিয়ে এসেছে। এই মাছ বিক্রি হয়েছে ২০ লাখ টাকায়। এফবি বিলকিস-২ নামের ট্রলারটি ৭০ মণ ইলিশ নিয়ে এসেছে, মাছগুলো বিক্রি হয়েছে ২২ লাখ টাকায়। শুধু ১৬ আগস্ট আলীপুর কেন্দ্রে ১১টি মাছ ধরার ট্রলার সাগর থেকে ৭০০ মণ ইলিশ মাছ নিয়ে ফিরেছে। এগুলো বিক্রি হয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকায়।

পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ডিএফও) ও ইলিশ গবেষক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, সাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরা বন্ধ রাখাসহ বিভিন্ন উদ্যোগের কারণে ইলিশ আহরণ বেড়েছে। সময়মতো বৃষ্টি না হওয়ায় এবার দেরিতে ইলিশ আহরণ শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, আলীপুর-মহিপুরের মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এ বছর সাগর থেকে ফিরে আসা ট্রলারে বড় ও মাঝারি আকারের ইলিশের সংখ্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। টুনা, ছুড়ি, পোয়াসহ অন্যান্য মাছও অনেক ধরা পড়ছে। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম ফলপ্রসূ হয়েছে। বর্তমানে উজানের পানি সরবরাহ ও বৃষ্টি বাড়ায় জলজ তাপমাত্রা কাম্য পর্যায়ে এসেছে। নদী ও উপকূল মোহনায় পানির উচ্চতা বাড়ায় লবণাক্ততা সহনীয় মাত্রায় এসেছে। সাগর থেকে উপকূলের দিকে ইলিশের যাত্রা শুরু হয়েছে। এটা অব্যাহত থাকলে গত বছরের তুলনায় বেশি পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়বে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আতঙ্কে নথিপত্রহীন বাংলাদেশিরা, নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার ৪
ঢাকা সফর নিয়ে দিল্লিতে ব্রিফ করলেন বিক্রম মিশ্রি
আফগানিস্তানে মন্ত্রণালয়ের ভেতর বিস্ফোরণে মন্ত্রী নিহত
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা, শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
পালানোর পথে আসাদের প্লেন বিধ্বস্তের গুজব
৫০ বছর পর সিরিয়ার সীমানায় ঢুকেছে ইসরায়েলি ট্যাংক
সিরিয়ার আগে যেসব দেশের স্বৈরশাসক পালিয়েছেন
বাশারের প্রধানমন্ত্রীর হাতেই থাকছে সিরিয়া সরকারের ভার
অর্ধশতাব্দী ধরে আসাদ পরিবারের সিরিয়া শাসন
সিরিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করছে হিজবুল্লাহ