ব্রিটিশ কলম্বিয়া প্রদেশের কেলোনাতে এরই মধ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলগুলোর রাজধানী ইয়োলোনাইফের বাসিন্দাদের সরিয়ে নিতে হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।
দাবানলে তীব্রতায় এমন ঘোষণার পর ইয়োলোনাইফের সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সেখানকার বাসিন্দারা শহর ছাড়ার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করছেন। বিশেষ করে উদ্ধারকারী বিমানে করে পালানোর চেষ্টা করছেন তারা।
বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিমানের আসন বুক করার জন্য শত শত মানুষকে স্থানীয় একটি স্কুলে লাইন ধরতে দেখা গেছে। তবে এদিন বিকালে সরকারের যোগাযোগ বিভাগের পরিচালক আমি কেনেডি জানান, উদ্ধারকারী বিমানে করে দাবানলে আটকে পড়া ৪০০-এর বেশি বাসিন্দাকে সরানো সম্ভব নয়।
তবে শুক্রবার সেখানকার মানুষকে সরিয়ে নিতে অন্তত ২২টি ফ্লাইট পরিচালনার কথা রয়েছে।
দাবানলের আগুন দ্রুতগতিতে শহরের দিকে এগিয়ে আসায় এ নিয়ে মানুষের মধ্যে উৎকণ্ঠার সঙ্গে ক্ষোভ বাড়ছে। তাদের অভিযোগ, উদ্ধার অভিযানে বিলম্ব হচ্ছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, ইয়োলোনাইফ থেকে বিমানে করে পাঁচ হাজার মানুষকে সরাতে হবে। কিন্তু আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় বিমানের সিডিউলে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।
এদিকে এ ধরনের দাবানল মোকাবিলার অভিজ্ঞতা রয়েছে কানাডার। বিশেষ করে বছরের এ সময়টায় সেখানে দাবানল জ্বলে ওঠে। তবে এ বছর অন্য বছরের তুলনায় বসন্তের সময় বেশি গরম ও শুষ্কতা দেখা গেছে। আর এ কারণে দাবানলের আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিজ্ঞানীরা।
বুধবার দিনের শেষ দিকে দাবানলের আগুন ইয়েলোনাইফ শহর থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে ছিল। ওই সময় বলা হয়েছিল, শুক্রবারের মধ্যে এটি শহরের উপকণ্ঠে চলে আসবে। ফলে শহরের বাসিন্দাদের এই সময়ের মধ্যেই সরে যেতে বলা হয়েছে। তাই অনেকে নিজেদের গাড়িতে করে সরে যাচ্ছেন। কিন্তু যাদের গাড়িতে করে সরার উপায় নেই তারা এখন বিপদে পড়ে গেছেন।
অর্থসংবাদ/এমআই