এর পর থেকেই সৌদি আরবের ক্লাব ফুটবল এখন বিশ্বব্যাপী ফুটবলের অতিপরিচিত। ইতোমধ্যে তারা টেক্কা দেওয়া শুরু করেছে ইউরোপিয়ান ফুটবলকে। ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোকে এখন চোখরাঙানি দিচ্ছে সৌদি প্রো লিগ। ফুটবলারদের বেতনের দিক দিয়ে সৌদির ক্লাবগুলোর ধারের কাছেও নেই ইউরোপের ক্লাবগুলো।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম লা প্যারিসিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্লাবের কাছ থেকে পাওয়া বেতনের দিক থেকে শীর্ষ দশের আটজনই এখন সৌদি লিগের। ইউরোপ থেকে এ তালিকায় জায়গা পেয়েছেন শুধু একজন, আরেকজন মেজর লিগ সকারের (এমএলএস)।
চলতি বছরের জানুয়ারির শুরুতে সৌদি ক্লাব আল নাসরে যোগ দেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক তারকাকে দিয়েই মূলত সৌদি লীগের নবযাত্রা শুরু। ২০২৫ সাল পর্যন্ত করা এ চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মৌসুমের জন্য রোনাল্ডো পাবেন রেকর্ড ২০ কোটি ইউরো করে, যা বেতনের দিক থেকে শীর্ষ স্থানে তুলে দিয়েছে রোনালদোকে।
রোনাল্ডোর দেখানো পথে, এর পর হাঁটতে শুরু করেছে আরও অনেক তারকা। এ জুনের শুরুতে রোনালদোর সমান মৌসুমপ্রতি ২০ কোটি ইউরোতে তারই সাবেক সতীর্থ বেনজেমাকে দলে ভেড়ায় আল ইত্তিহাদ।
রোনালদো ও বেনজেমার পরের স্থানটি সদ্য পিএসজিকে বিদায় জানিয়ে আল হিলালে যোগ দেওয়া নেইমারের। যদিও ব্রাজিলিয়ান তারকার বেতন শীর্ষে থাকা দুজনের অর্ধেক। আল হিলাল নেইমারকে বেতন দেবে ১০ কোটি ইউরো। রোনালদো আল নাসরে যাওয়ার পর মেসিকে নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে আল হিলাল। সেই সময় বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন মহাতারকাকে মৌসুমপ্রতি ৪০ কোটি ইউরোর বেশি বেতন প্রস্তাব করার কথা শোনা গিয়েছিল।
মেসিকে না পেয়ে এমবাপ্পেকে দলে ভেড়াতে চেয়েছিল আল হিলাল। সেখানেও ব্যর্থ হয়ে তারা হাত বাড়ায় নেইমারের দিকে। নেইমারকে নেওয়ার চেষ্টা করে এশিয়ার সফলতম ক্লাবটি এবং সফলও হয় তারা। মৌসুমপ্রতি ১০ কোটি ইউরোতে নেইমারকে দলে টেনেছে ক্লাবটি।
এ ছাড়া আল ইত্তিহাদে এনগোলো কন্তেও বেতন পান ১০ কোটি ইউরো। কন্তের পরই আছেন ইউরোপ থেকে তালিকায় জায়গা পাওয়া একমাত্র ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপ্পে। যিনি পিএসজির কাছ থেকে পান ৭ কোটি ইউরো। আর ৪ কোটি ৫০ লাখ ইউরো বেতন নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছেন ইন্টার মায়ামির মেসি।
বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়কের পর শীর্ষ ১০-এ আরও আছেন সাদিও মানে, জর্দান হেন্ডারসন, রিয়াদ মাহরেজ ও কালিদু কুলিবালি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটিতে বেতনের বাইরেও বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা পাবেন মেসি।
অর্থসংবাদ/এমআই