শনিবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাছের বাজারে বেশ হইচই। পাশাপাশি দাঁড়িয়ে বিক্রেতারা দাম হাঁকাচ্ছেন। কেউ এক হাজার, কেউ ১২০০, আবার কেউ ১৪০০ টাকা বলছেন। কাছাকাছি না গেলে স্পষ্ট শোনাটাও যেন মুশকিল।
বাজারে পাইকারি ক্রেতার পাশাপাশি সাধারণ ক্রেতাদের আনাগোনাও আছে বেশ। কেউ দাঁড়িয়ে কারও করা দাম শুনছেন, আবার কেউ দাম করেই যাচ্ছেন। দামে মিলে গেলেই কিনছেন মাছ।
ইলিশ মাছের পাইকারি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম অঞ্চলের সমুদ্রের মাছ এবং বরিশাল অঞ্চলের নদীর মাছ সমান হারে পাওয়া যাচ্ছে। যার ফলে মাছের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। দিন যত বাড়বে, মাছের দাম তত কমতেই থাকবে। গতকাল যে মাছ ১৫০০ টাকায় বিক্রি করেছি সেটি আজ বিক্রি হচ্ছে ১২০০ টাকায়। এভাবে সামনের দিনগুলোতে মাছের দাম আরও কমবে। তবে সমুদ্রের মাছের তুলনায় নদীর মাছের দাম একটু বেশিই রয়েছে। এখন বরিশাল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী থেকে মাছ আসছে।
বাজারের এক মাছ বিক্রেতা বলেন, এখন মাছের ব্যাপক আমদানি। যার ফলে বাজারে দাম কমেছে ইলিশের। আমদানি কমে গেলে দাম বেড়ে যাবে। দাম কমের কথা জেনে ক্রেতার ইতোমধ্যে বাজারে এসেছেন। ২ দিন আগের তুলনায় এখন বাজারে ইলিশের দাম কেজিতে ৩/৪শ টাকা কমেছে। তবে ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেছে- তারা আরও কম দামে মাছ কিনতে চান।
মাছ কিনতে আসা আরিফুল ইসলাম বলেন, বাজারে দেখছি প্রচুর মাছ উঠেছে, কিন্তু বিক্রেতারা দাম কমাচ্ছে না। অল্প আয়ের মানুষের জন্য এই দামে মাছ কেনা প্রায় অসম্ভব। কারণ, বেশিরভাগ দোকানদারই আগের দাম ধরে রেখেছে। তারা দাম না ছাড়লে, ইলিশ মাছ না কিনেই হয়ত বাসায় ফিরতে হবে। কেউ এক হাজার টাকা নিয়ে বাজারে এলে তার আর মাছের বাজারে ঢোকার সাধ্য হবে না।
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ীদের তথ্যমতে, ৫০০-৬০০ গ্রাম ওজনের মাছের কেজি ৬৫০ টাকা, ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের মাছের কেজি ৮০০-১০০০ টাকা, ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম ওজনের মাছের কেজি ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা এবং ১ কেজি বা এর অধিক ওজনের সাইজের মাছের কেজি ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা।
অর্থসংবাদ/এমআই