শনিবার (১৯ আগস্ট) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারি বৃষ্টির কারণে ওইসব অঞ্চলে প্রবল বন্যা হতে পারে।
শক্তিশালী এ ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার (১৮ আগস্ট) মেক্সিকোর কাবো সান লুকাসের ৩২৫ মাইল দূরে অবস্থান করছিল। ওই সময় ঝড়টির বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩০ মাইল।
মার্কিন আবহাওয়া বিভাগ দ্য ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস (এনডব্লিউএস) তার পূর্বাভাসে বলেছে, ঘূর্ণিঝড় হিলারির প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় ৭ থেকে ১৭ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর ফলে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া ও দক্ষিণ নেভাদা অঞ্চলের কিছু অংশে ভয়াবহ দুর্যোগ সৃষ্টি হতে পারে।
প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ক্যালিফোর্নিয়ার দক্ষিণ উপকূলীয় শহর সান দিয়াগোয় হড়কা বান তথা আকস্মিক বন্যা হতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া বিভাগ এনডব্লিউএস। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষকে বন্যা সতর্কতায় রাখা হয়েছে।
এনডব্লিউএস আরও জানায়, ঝড়টি বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবারের মধ্যবর্তী সময়ে ব্যাপক শক্তি অর্জন করে। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এটি একটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় থেকে ক্যাটাগরি-৪ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয়। এটি মেক্সিকোর বাজা ক্যালিফোর্নিয়া উপদ্বীপ হয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
আবহাওয়াবিদরা সতর্ক করে বলেছেন, এটির প্রভাবে বন্যা, ভূমিধস ও বিভিন্ন জায়গায় টর্নেডো দেখা যেতে পারে। ঝড়টি মূলত আঘাত হানবে মেক্সিকোতে। এরপর এটি ক্যালিফোর্নিয়ার ওপর দিয়ে চলে যাবে। কিন্তু যদি এটি ঝড় হিসেবে ক্যালিফোর্নিয়াতেও আঘাত হানে, তা হলে গত ৮৪ বছরের মধ্যে প্রথম কোনো সামুদ্রিক ঝড় সেখানে আঘাত হানবে। ১৯৩৯ সালের পর সেখানে আর কোনো সামুদ্রিক ঝড় দেখা যায়নি।
অর্থসংবাদ/এমআই