তীব্র তাপমাত্রার পর প্রবল বৃষ্টি মুসল্লিদের মধ্যে তৈরি করে অন্য রকম অনুভূতি। বৃষ্টির পানির ছোঁয়ায় অনাবিল প্রশান্তিতে ভরে যায় সবার অন্তর। এ সময় কাবা চত্বরে আগ্রহভরে বৃষ্টিতে ভিজেন অনেকে। আবার অনেকে ছাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং মুগ্ধতাভরে তাকিয়ে থাকেন কালো গিলাফের দিকে।
এদিকে মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের তত্ত্বাবধানকারী জেনারেল অথরিটি ফর দি অ্যাফেয়ার্স জানিয়েছে, বৃষ্টির পর দ্রুততর সময়ে কাবা প্রাঙ্গণ থেকে পানি নিষ্কাষণে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। তা ছাড়া মসজিদ কর্তৃপক্ষ থেকে বৃষ্টির সময় মুসল্লিদের মধ্যে ছাতা বিতরণ করা হয়। এসব দায়িত্ব পালনে জেনারেল অথরিটির তত্ত্বাবধানে হাজার লোক কাজ করে থাকেন।
একই সময় জেনারেল অথরিটি এক্স-এর এক পোস্টে পবিত্র কোরআনে বৃষ্টিবিষয়ক একটি আয়াত শেয়ার করা হয়।
তা হলো, ‘তাঁর একটি নিদর্শন হলো, আপনি ভূমিকে অনুর্বর পড়ে থাকতে দেখবেন। অতঃপর আমি এর ওপর বৃষ্টি বর্ষণ করলে তা শস্য-শ্যামল ও স্ফীত হয়। নিশ্চয় যিনি একে জীবিত করেন তিনি মৃতদেরও জীবিত করবেন। নিশ্চয় তিনি সবকিছু করতে সক্ষম।’ (সুরা হা-মিম, আয়াত : ৩৯)
নিম্নগামী বাতাসের গতিবেগে ছিল ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার। সৌদি আরবের ন্যাশনাল সেন্টার অফ মেটিওরোলজি এ তথ্য জানিয়েছে। এর মধ্যে মক্কার দক্ষিণাঞ্চল আল-কাকিয়াতে ৪৫ মিমি সর্বোচ্চ পরিমাণ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
অর্থসংবাদ/এমআই