সূত্র মতে, তদন্ত কমিটি জেমিনি সি ফুডের সম্পদ, দায় এবং ইক্যুইটির বিষয়ে খতিয়ে দেখবে। এছাড়াও ব্যালেন্স শীট এবং আর্থিক বিবৃতির অন্যান্য অংশ পর্যালোচনা করবে। পাশাপাশি গত পাঁচ বছরে কোম্পানি এবং অন্যান্য পক্ষের মধ্যে লেনদেন পর্যালোচনা করবে।
জানা গেছে, বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মোল্লা মিরাজ-উস-সুন্নাহকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অপর সদস্যরা হলেন, বিএসইসির সহকারী পরিচালক আনোয়ারুল আজিম এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপক রুমানা ফেরদৌস মৌ।
সূত্র জানায়, তদন্ত কমিটি জেমিনি সি ফুডের গ্রাহকদের কাছ থেকে আয়, বিক্রিত পণ্যের মূল্য, গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত নগদ, সরবরাহকারীকে নগদ অর্থ প্রদান, প্রাপ্য বিল, প্রদেয় এবং তাদের অন্তর্নিহিত ডকুমেন্টেশন এবং আইন অনুযায়ী সম্মতি খতিয়ে দেখবে।
কোম্পানিটির সম্পদ ও অন্যান্য সরঞ্জামের বিনিয়োগের পর্যালোচনা করবে এবং লেনদেনকারী পক্ষগুলিকে চিহ্নিত করবে তদন্ত কমিটি। কোম্পানির অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং অপারেশনাল দক্ষতা, নির্ভরযোগ্য আর্থিক প্রতিবেদন এবং আইন, প্রবিধান এবং নীতির সাথে সম্মতি নিশ্চিতের বিষয়টিও তদন্ত করা হবে। এছাড়াও পরিচালনা পর্ষদ, অডিট কমিটি এবং শীর্ষ ব্যবস্থাপনার ভূমিকা স্ক্যান করার এবং বিনিয়োগকারীদের কাছে মিথ্যা এবং পক্ষপাতমূলক আর্থিক তথ্য সম্পর্কিত প্রমাণ জমা দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তদন্ত কমিটিকে।
আর্থিক বিবৃতিতে মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর মূল্য-সংবেদনশীল তথ্য ব্যবহার করে পরিচালনা পর্ষদ, শীর্ষ ব্যবস্থাপনা এবং কোম্পানির অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সম্ভাব্য মূল্যেরও তদন্ত করবে