বাংলাদেশে বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরোধীতা করে চীন জানিয়েছে, বাংলাদেশ যাতে অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারে সে বিষয়ে সমর্থন করে চীন। এছাড়া বাংলাদেশের জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সমর্থন করে চীন।
বুধবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এ কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) চীনের দূতাবাস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে আরও বলা জয়, দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত ১৫তম ব্রিকস সম্মেলন হোটেল হিলটন স্যান্ডটনে শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি, নতুন শক্তি ও কৃষিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে উভয় পক্ষকে আহ্বান জানান জিনপিং। একই সঙ্গে ঢাকা ও বেইজিংয়ের মধ্যে উচ্চমানের বেল্ট অ্যান্ড রোড সহযোগিতা এবং অর্থনৈতিক পরিপূরকতাকে পূর্ণাঙ্গ করার আহ্বান জানিয়েছেন শি জিনপিং।
শি আরও বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় সমর্থন করে চীন। এ ছাড়া বাংলাদেশে বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করে দেশটি। বাংলাদেশ যাতে অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারে এবং উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবন অর্জন করতে পারে, সে বিষয়ে সমর্থন করে তার দেশ।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী বছরের অক্টোবরে পদ্মা রেল সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করতে চীনের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
এদিকে শেখ হাসিনা চীনের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের চীনে পড়াশোনার সুযোগ বাড়ানোর আহ্বান জানান এবং শি জিনপিং বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দেন।
বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশকে সবসময় সমর্থন দিয়ে যাবে এবং বাংলাদেশের জ্বালানি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা করতে তার দেশের আগ্রহের কথা জানান।
অর্থসংবাদ/এসএম