দেশটির চাল ব্যবসায়ী ও রফতানিকারকদের সংগঠন মিয়ানমার রাইস ফেডারেশনের (এমআরএফ) এক জ্যেষ্ঠ সদস্যের বরাত দিয়ে গতকাল এ খবর প্রকাশ করে রয়টার্স।
এমআরএফের ওই জ্যেষ্ঠ সদস্য বলেন, অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে কিছুদিনের জন্য চাল রফতানি সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগস্টের শেষদিক থেকে আগামী ৪৫ দিন চালের রফতানি সীমিত থাকবে।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ চাল রফতানিকারক দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ভারত, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও মিয়ানমার। জার্মানভিত্তিক তথ্যসেবা প্রতিষ্ঠান স্ট্যাটিস্টার তথ্য বলছে, ২০২২-২৩ মৌসুমে ভারত চাল রফতানি করেছে ২ কোটি ১৫ লাখ টন। এছাড়া থাইল্যান্ড ৮২ লাখ টন, ভিয়েতনাম ৬৮ লাখ টন, পাকিস্তান ৩৮ লাখ টন এবং মিয়ানমার ২৪ লাখ টন চাল রফতানি করে।
বৈশ্বিকভাবে চালের মূল্য বৃদ্ধি পেতে শুরু করলে গত বছর ভাঙা চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকার। এর পাশাপাশি তখন বাসমতী নয় এমন চালের রফতানির ওপর ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়। এর পরও দেশটির অভ্যন্তরীণ বাজারে বাড়তে থাকে চালের দাম। গত বছরের অক্টোবর থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে চালের দাম প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। দেশের ভেতরে চালের ঊর্ধ্বমুখী দাম সামাল দিতে চলতি বছরের ২০ জুলাই বাসমতী নয় এমন চাল রফতানিতেও নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত সরকার।
আইএফপিআরআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, সবচেয়ে বড় রফতানিকারক দেশ হওয়ায় চাল রফতানিতে ভারতের নিষেধাজ্ঞা বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বৃদ্ধি করতে পারে। এছাড়া বিশ্বব্যাপী চালের মূল্য বৃদ্ধি পাবে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার পর মিয়ানমারের চাল রফতানি সীমিত করার পরিকল্পনায় বিশ্ববাজারে চালের মূল্য আরো বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। পণ্যবাজারের মূল্য পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের নিয়মিত প্রতিবেদনের (পিংকশিট) তথ্য অনুযায়ী, জুলাইয়ে প্রতি টন থাইল্যান্ডের ৫ শতাংশ ভাঙা চালের দাম ছিল ৫৪৭ ডলার। যদিও গত বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে প্রতি টন চালের দাম ছিল ৪২৯ ডলার ৩ সেন্ট।
অর্থসংবাদ/এমআই