যদিও মহল্লার দোকানে কেউ কেউ ১০০ টাকাও রাখছেন। আর আমদানি করা পেঁয়াজের দাম এক লাফে উঠেছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। বাজার নিয়ন্ত্রণে কৃষি মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে ভারত ছাড়া ৯টি দেশ থেকে ২১ হাজার ৫৮০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। বিপরীতে গতকাল পর্যন্ত এসেছে ৩ লাখ ৭৯ হাজার টন।
এর মধ্যে নতুন করে দাম বাড়তে শুরু করেছে রসুনের। গত দু-তিন দিনেই পণ্যটির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। মাস দেড়েক আগেও রসুনের কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে ছিল। ধীরে ধীরে বেড়ে সেটি এখন আড়াইশ টাকায় উঠেছে। গত দু-তিন দিনের ব্যবধানেই আমদানি করা রসুনের কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায়। আর দেশি রসুন কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকা।
একইভাবে কেজিতে ১০ টাকার মতো বেড়ে ইন্দোনেশিয়ার আদা ২৫০ থেকে ২৬০ এবং মিয়ানমারের আদা ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে মাংস আগের মতোই উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ এবং সোনালি মুরগি ৩০০ টাকার আশপাশে বিক্রি হচ্ছে। তবে দেশি মুরগি কিনতে কেজিতে খরচ করতে হবে ৫৫০-৬৫০ টাকা। আলোচনায় থাকা ডিমের বাজার এখনও স্বাভাবিক হয়নি। ফার্মের প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা দরে।
মাছের বাজারেও ক্রেতার জন্য নেই কোনো সুখবর। মাঝারি আকারের রুই-কাতলার কেজি ৪০০-৪৫০ আর বড় আকারের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০-৫৫০ টাকা দরে। নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে সবচেয়ে বেশি চাহিদার তেলাপিয়ার কেজি ২৫০ থেকে ২৭০, পাঙাশ ২২০ থেকে ২৪০, হাইব্রিড কই মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য মাছের দামেও রয়েছে তেজ। এ ছাড়া বাজারে ইলিশের সরবরাহ বাড়লেও দাম আগের মতোই সাধারণের নাগালের বাইরে। ৬০০-৭০০ গ্রামের ইলিশের কেজি এক হাজার টাকার বেশি এবং এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা রাখছেন বিক্রেতারা।
প্রায় দুই সপ্তাহ দুই-তিনটি ছাড়া সবজির বাজার মোটামুটি স্বাভাবিক ছিল। তবে এখন কয়েকটির দাম বাড়তির দিকে। করলা ৭০ থেকে ৯০ টাকা, গাজর ১১০ থেকে ১২০, কচুরমুখি ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ গত সপ্তাহে ১০ থেকে ২০ টাকা কম দামে কেনা গেছে এসব সবজি। এ ছাড়া অন্যান্য সবজি কিনতে গেলেও কেজিতে ৫০ টাকার বেশি গুনতে হবে ক্রেতাকে। কাঁচামরিচ বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা দরে।
অর্থসংবাদ/এমআই