দেশে কমোডিটি পণ্যের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে

দেশে কমোডিটি পণ্যের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে
বিরাট আকারের ভোক্তাসম্প্রদায় এবং জিডিপি ও ক্রয়ক্ষমতার সূচকে অব্যাহত উন্নতি করা বাংলাদেশে কমোডিটি ডেরিভেটিভ পণ্যের বিপুল সম্ভাবনার রয়েছে। ভারতের সিকিউরিটিজ ও কমোডিটি মার্কেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অব ইন্ডিয়ার (এসইবিআই) সঙ্গে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এক আলোচনায় এ তথ্য উঠে আসে।

শনিবার (২৫ আগস্ট) মুম্বাইয়ে দুই দেশের পুঁজিবাজার ও কমোডিটি এক্সচেঞ্জের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় এসইবিআই, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সিকিউরিটিজ মার্কেট (এনআইএসএম) এবং মাল্টি কমোডিটি এক্সচেঞ্জ অব ইন্ডিয়ার (এমসিএক্স) প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।

বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে ছিলেন, বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের উপসচিব মো. গোলাম মোস্তফা, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক(ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম ফারুক।

সভায় বাংলাদেশে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠাসহ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে নিয়ে দুপক্ষের মাঝে আলোচনা হয়। বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে কমোডিটি ডেরিভেটিভের বাজার সৃষ্টি এবং দেশের বাজারে কিভাবে সফলভাবে কমোডিটি ডেরিভেটিভ প্রোডাক্টগুলোর সুযোগ-সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যায় সে বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়। বাংলাদেশে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠা ও এই মার্কেটের বিকাশের পথে নানা চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলায় করণীয় সম্পর্কেও সভায় আলোচনা হয়। বাংলাদেশে এ ধরণের এক্সচেঞ্জ ও বাজার চালু হলে তার যথাযথ রেগুলেশন ও ঝুঁকি ব্যাবস্থাপনার নানা দিক নিয়ে ভারতের বাজার সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা হয়।

ভারতের পুঁজিবাজারের মতো বাংলাদেশেও মিউচুয়্যাল ফান্ড খাতের সম্ভাবনাকে কিভাবে কাজে লাগানো যায়, তা নিয়ে সভায় আলোচনা হয়। ভারতের বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, মাত্র ১০ বছরের ব্যবধানে দেশটির মিউচুয়াল ফান্ডের আকার ছয় গুণেরও বেশি বেড়ে ২০২৩ সালে ৪৬.৩৮ লক্ষ কোটি রুপির আকার পেয়েছে।

সভায় বাংলাদেশে মিউচুয়্যাল ফান্ড খাতের উন্নয়ন এবং এখাতের প্রোডাক্টগুলোর উন্নতিসাধন ও তাদের জনপ্রিয় করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে কথা হয়। একইসাথে ভারতে মিউচুয়্যাল ফান্ডসহ বিভিন্ন সেক্টর থেকে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিষয়ে ও সভায় আলোচনা হয়। অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মিউচুয়্যাল ফান্ড খাতে ভারতের ন্যায় প্রবৃদ্ধি হবে বলে সভায় উপস্থিত সকলে আশাবাদ বক্ত করেন।

ভারতের কটন অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার সঙ্গেও বিএসইসির সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমোডিটি ডেরিভেটিভ পণ্য হিসেবে যে পণ্যগুলো ভারত ও বিশ্বজুড়ে কমোডিটি এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয় তার তুলা তার মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের কমোডিটি এক্সচেঞ্জে ও প্রাথমিকভাবে যে কয়টি কমোডিটি ডেরিভেটিভ পণ্য লেনদেন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে তার একটিও তুলা। তৈরি পোশাক ও বস্ত্র শিল্পের সাথে বাংলাদেশ গভীরভাবে জড়িত হওয়ায় দেশে তুলা কমোডিটি ডেরিভেটিভ পণ্য হিসেবে ব্যাপক সম্ভবনাময়। ভারতে কমোডিটি এক্সচেঞ্জে কটনের মতো কমোডিটি ডেরিভেটিভ পণ্যের লেনদেন তথা ট্রেডিং-ক্লিয়ারিং প্রক্রিয়া ও এক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জসহ এর নানাদিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত