এই কনটেইনার টার্মিনাল নির্মিত হলে ভারতের উত্তর, পশ্চিম ও মধ্যাঞ্চল বৈশ্বিক বাজারের সঙ্গে সংযুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন ডিপি ওয়ার্ল্ডের প্রধান নির্বাহী সুলতান আহমেদ বিন সুলায়েম। দিন দয়াল পোর্ট অথরিটির সঙ্গে ডিপি ওয়ার্ল্ড কর্মকর্তাদের চুক্তি সইয়ের পর তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে এসব কথা বলেন।
চলতি বছরের শুরুতে ভারত সরকার হিন্দুস্তান ইনফ্রালগ প্রাইভেট লিমিটেডের এই টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদন করে। হিন্দুস্তান ইনফ্রালগ মূলত ডিপি ওয়ার্ল্ড ও রাষ্ট্রায়ত্ত ন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফান্ডের একটি যৌথ উদ্যোগ।
ডিপি ওয়ার্ল্ড বিশ্বের ৭৩টি দেশে কাজ করে, তবে চলতি বছরের প্রথমার্ধে কোম্পানিটির মুনাফা ১০ শতাংশ কমেছে।
২০২৭ সালের প্রথম ভাগে এই টার্মিনালের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। ডিপির কর্মকর্তারা বলছেন, এই টার্মিনালের মাধ্যমে ভারতে কনটেইনার পরিবহনের সক্ষমতা বাড়বে ও উপকরণ ব্যয় কমবে।
ডিপি ওয়ার্ল্ড ভারতে পাঁচটি কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনা করে, এর মধ্যে দুটি টার্মিনাল মুম্বাইয়ে এবং বাকি তিনটি—মুন্দ্রা, কোচি ও চেন্নাইয়ে। এই ৫ টার্মিনালের সম্মিলিত সক্ষমতা ৬০ লাখ ২০ টিইইউ।
ভারতে যত কনটেইনার ওঠানামা হয়, তার ২৮ শতাংশ ডিপির মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
ডিপির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন টার্মিনালের মাধ্যমে ডিপির সম্মিলিত সক্ষমতা ৮১ লাখ ৯০ হাজার টিইইউতে উন্নীত হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ভারতের ভিশন ২০৪৭-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে ডিপি ওয়ার্ল্ড বিনিয়োগ করছে। এর মধ্য দিয়ে কনটেইনার পরিবহনের সক্ষমতা চার গুণ বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা আছে। এই বিনিয়োগ ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে।
অর্থসংবাদ/এমআই