স্থিতিশীল উন্নয়নের লক্ষে কাজ করে যাওয়া বাংলাদেশের অন্যতম জাতীয় যুব সংগঠন জেসিআই বাংলাদেশ পঞ্চম বারের মতো উদযাপন করলো তাদের অনন্য সম্মাননা অনুষ্ঠান উইমেন অব ইন্সপিরেশন অ্যাওয়ার্ড। এ বছর ১২ জন নারীকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁদের অসামান্য অবদানের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
শনিবার (২৬ আগস্ট) ঢাকার স্থানীয় এক হোটেলে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
উইমেন অব ইন্সপিরেশন অ্যাওয়ার্ড নিজেদের কর্মক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখা নারীদের সম্মান ও কৃতজ্ঞতা প্রদর্শনের উদ্দেশ্য নিয়ে করা জেসিআই বাংলাদেশের একটি অনন্য আয়োজন। এই পুরস্কারপ্রাপ্ত নারীরা তাঁদের নেতৃত্বগুণ, লক্ষ্যের প্রতি অসামান্য উৎসর্গ এবং অগণিত মানুষকে তাঁদের কাজের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করায় অনন্য।
সম্মাননা পাওয়া ১২ জন নারী হলেন- একাডেমি ক্ষেত্রে মুনজেরিন শহীদ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সারাবন তহুরা তুরিন, বাণিজ্য ক্ষেত্রে ফাদিয়া খান, কর্পোরেট ক্ষেত্রে ফারহা নাজ জামান, খেলাধূলায় রূপনা চাকমা, স্টার্টআপ ক্ষেত্রে সাদিয়া হক, শিল্প ও সাহিত্য ক্ষেত্রে রোকেয়া সুলতানা, ব্যাংকিং ক্ষেত্রে নুরুন নাহার বেগম, বিনোদন ক্ষেত্রে তানজিন তিশা, চিকিৎসা উদ্ভাবনে ডা. সাহেবা আখতার, উঠতি নারী নেতৃত্বে শবনম ওয়াজেদ এবং আজীবন অর্জনে দিলারা জামান সম্মাননা লাভ করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডিশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে ও বাংলাদেশে সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের সমন্বয় বিভাগের উপপ্রধান করিন হেনচোজ সিগনানি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেসিআই বাংলাদেশের সভাপতি জিয়াউল হক ভূঁইয়া। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেসিআইর এলাকাভিত্তিক উপদেষ্টা রবি শংকর সাথিয়ামূর্তি, জেসিআই বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. শাখাওয়াত হোসেন মামুন এবং জেসিআই বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল নিয়াজ মোর্শেদ এলিট। অনুষ্ঠানটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন জেসিআই বাংলাদেশের সহ-সভাপতি তাসনুভা আহমেদ এবং আহ্বায়ক হিসেবে জেসিআই বাংলাদেশের সহ-সভাপতি আরেফিন রাফি আহমেদ।
পুরস্কারপ্রাপ্ত অদম্য নারীদের পাশাপাশি উপস্থিত অতিথি ও জেসিআই বাংলাদেশের সফল নেতৃস্থানীয় নারীরাও অনুষ্ঠানে তাঁদের মূল্যবান বক্তব্য রাখেন।
জেসিআই ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী তরুণ পেশাজীবী ও নেতৃত্ব স্থানীয়দের নিয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের সেইন্ট লুইসের সদর দফতর অবস্থিত। বর্তমানে ৪০টি স্থানীয় সংগঠন ও প্রায় ৫০০০ সদস্য নিয়ে জেসিআই বাংলাদেশ জাতীয় পর্যায়ে সমাজ ও সম্প্রদায়ের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে।
অর্থসংবাদ/এসএম
