টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হায়দরাবাদ। কিন্তু কেকেআর বোলারদের আঁটোসাঁটো বোলিংয়ের জন্য রান পায়নি হায়দরাবাদের কোনও ব্যাটসম্যানই। মুম্বাইয়ের সামনে বেসামাল হলেও এদিন নিজেকে সামলে নিলেন প্যাট কামিন্স। তার বোলিং বিশ্লেষণ ৪-০-১৯-১। তুলে নিলেন বেয়ারস্টোকে। অসাধারণ বোলিং করে গেলেন আইপিএলে দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা বরুণ চক্রবর্তী। ৪ ওভারে মাত্র ২৫ রান দিয়ে তুলে নিলেন ওয়ার্নারের (৩৬) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। সর্বাধিক ৫১ রান করলেন মণীশ পাণ্ডে। ঋদ্ধিমান সাহা করেন ৩০ রান। কিন্তু রানের গতি কেউই বাড়াতে পারেননি। ২০ ওভারে শেষে হায়দরাবাদ থেমে যায় ১৪২/৪ রানে।
এই রান তাড়া করতে গেলে তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই। সেটাই দেখিয়ে দিয়ে গেলেন শুভমান গিল ও ইয়ন মর্গ্যান। নারিন (০), নিতীশ রান (২৬) ও অধিনায়ক দীনেশ কার্তিককে (০) হারিয়ে কলকাতা একসময় ৫৩/৩ হয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকেই কোনও উইকেট না হারিয়ে ম্যাচ বের করে নিলেন শুভমান গিল (৬২ বলে ৭০) এবং ইয়ন মর্গ্যান (২৯ বলে ৪২)। গিলের ইনিংস সাজানো ৫টি চার ও ২টি ছয় দিয়ে। ইংলশ অধিনায়কের ইনিংসে রয়েছে ৩টি চার ও ২টি ছয়। দু’জনে অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেটে যোগ করেছেন ৯২ রান।
হায়দরাবাদ বোলাররা খারাপ বোলিং করেননি। কিন্তু গিল ও মর্গ্যান কোনও ঝুঁকি না নিয়ে ম্যাচ বের করে নিয়েছেন। প্রথম ম্যাচে সুপার ফ্লপ হলেও হায়দরাবাদ ম্যাচে গিল-মর্গ্যান জুটি হিট করতেই জয়ে ফিরলো কলকাতা নাইট রাইডার্স।