আজ মঙ্গলবার গণভবনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাঁচামরিচ গাছ থেকে ছিঁড়ে নিয়ে খাওয়ার আলাদা একটা টেস্ট আছে। ডিম যখন বেশি পাবেন সিদ্ধ করে ফ্রিজে রেখে দেবেন, বহুদিন থাকবে। নষ্ট হবে না। সবকিছুর বিকল্প আছে। ডিম সিদ্ধ করে ডিপে রেখে দেন, ডিম ভালো থাকবে। রান্না করে, ভর্তা করে খাওয়া যাবে। আমরা রাখি খাই। এগুলো নিজে থেকে শেখা।
তিনি বলেন, আমাদের দেশে একটা নিয়ম আছে যুগ যুগ ধরে। আমরা ছোটবেলায় দেখেছি শীতকালে যখন বাজারে শিম ওঠে কে কত বেশি দামে কিনতে পারে এটার একটা প্রতিযোগিতা চলত। দুইদিন পর দাম কমে যেত। আবার বর্ষাকালে কাঁচামরিচের দাম বাড়ে। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে কাঁচামরিচ শুকনা করে রেখে দেওয়া যায়। পেঁয়াজ শুকিয়ে রেখে দেওয়া যায়। যেটার উৎপাদন বেশি হবে সেটা শুকিয়ে রেখে দিলে ব্যবহার করা যাবে। জীবনে কেউ কখনো ভেবেছে যে বর্ষাকালে শিম, লাউ, কপি, গাজর, টমেটো খাবে। ভবিষ্যতে এগুলো রাখা, প্রসেস করা, চিলিং সিস্টেমে সংরক্ষণ করার বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা এখান থেকে চাল কিনতে চান। আমি বলেছি আমাদের ১৭ কোটি মানুষের খাবার দিতে হয় আগে, দেখব যদি উদ্বৃত্ত থাকে অবশ্যই আমরা দেব। আমাদের দেশ থেকে এখন অনেকেই তরকারি কিনতে চাচ্ছে, আমরা দিচ্ছি। এখন তো সুইজারল্যান্ডেও যাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমি সবাইকে বলছি নিজেরা উৎপাদন করেন। প্রত্যেকে যদি কিছু উৎপাদন করতে পারে, তখন বাজারে ওপর নির্ভরশীলতা থাকে না। নির্ভরশীলতা এমনিতেই ভেঙে যাবে।
অর্থসংবাদ/এমআই