8194460 ডাবের দাম যেভাবে ৫০ থেকে ২০০ টাকায় গড়ায় - OrthosSongbad Archive

ডাবের দাম যেভাবে ৫০ থেকে ২০০ টাকায় গড়ায়

ডাবের দাম যেভাবে ৫০ থেকে ২০০ টাকায় গড়ায়
ডেঙ্গু ও মৌসুমি জ্বরের কারণে সারাদেশে বেড়েছে ডাবের চাহিদা। তাতেই সুযোগের অসৎ ব্যবহার করছেন একদল অসৎ ব্যবসায়ী। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৩০-৫০ টাকায় কেনা প্রতিটি ডাব ঢাকায় ১৮০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে অসুস্থ মানুষের খরচ বহনের পাশাপাশি ডাবের অতিরিক্ত দাম সাধারণ মানুষকে বিপাকে ফেলছে। তাতে জনমানুষের মনে প্রশ্ন, ডাবের দাম কীভাবে ২০০ টাকায় গড়ায়?

মেঘনা উপকূলীয় জনপদে নারিকেলের ব্যাপক ফলন হয়। প্রতিবছর এই অঞ্চলে সাড়ে ৫০০ কোটি টাকার নারিকেল বেচাকেনা হয়। জানা যায়, বাগান মালিকদের কাছ থেকে পাইকাররা আকারভেদে প্রতিটি ডাব ৩০-৫০ টাকায় কিনে থাকেন। গ্রামের পাইকার থেকে ৯ হাত বদল হয়ে ঢাকায় গিয়ে সেই ডাব দাঁড়ায় ২০০ টাকায়। শহরের আড়তদারদের অতিরিক্ত মুনাফা লোভের কারণে ক্রেতা পর্যায়ে দাম বেশি গুনতে হয়।

৫০ টাকা ডাবের দাম যেভাবে ২০০ টাকা


বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মালিক থেকে বাগানের গাছের ডাব কিনতে হয় আকারভেদে ৩০-৫০ টাকায়। গাছ থেকে প্রতিটি ডাব নামাতে পাড়িয়াদের (যারা গাছ থেকে ডাব পাড়েন) দিতে হয় ৩-৪ টাকা, গাছের গোড়ায় রশি ধরে কিংবা ঝরা ডাব একস্থানে জড়ো করতে ৫০ পয়সা, স্থানীয় ভ্যানচালক-ছোট পিকআপভ্যানযোগে স্থানীয় আড়তে জড়ো করতে ২ টাকা, ট্রাকযোগে ঢাকার আড়তে পৌঁছাতে খরচ ৪-৫ টাকা, সেখানে নামানোর শ্রমিকদের ৪০-৫০ পয়সা, এরপর নিজের খরচ-বিনিয়োগ-পারিশ্রমিক হিসেবে জেলা পর্যায়ের ব্যবসায়ীর ৫ টাকা লাভ, আড়তদার ব্যবসায়ীর ২০-৩০ টাকা ও বাকিটা খুচরা ব্যবসায়ীর লাভ। এভাবেই একটি ডাব বাগান থেকে ঢাকায় ক্রেতা পর্যন্ত ১৫০-২০০ টাকা হারে বিক্রি হয়।

আরও পড়ুন: ডাব বিক্রি করতে লাগবে লাইসেন্স ও টিআইএন

ডাব বিক্রি করা এক বাগান মালিক জানান, ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে নাকি ২০০ টাকায় ডাব বিক্রি হয়। কিন্তু আমি কখনো ৩৫ টাকার বেশি মূল্য পাইনি।

এদিকে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের কারণে ডাবের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম শফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, আমি কোনোদিন চিন্তা করি নাই, ডাব নিয়াও আমাকে বসতে হবে। ডাব এখন আমাদের ‘টক অব দ্য কান্ট্রি’। নিউজে ডাবের দাম নিয়া আলোচনা হচ্ছে।

শফিকুজ্জামান বলেন, আমি সবাইকে বলছি যতক্ষণে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১০০ টাকার মধ্যে না আসবে আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত মনিটরিং জোরদার রাখবো। ডাব ব্যবসায়ীদের অবশ্যই পাকা রসিদ সংগ্রহে রাখতে হবে। তা না হলে অভিযানের মাধ্যমে জরিমানাসহ কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।

অর্থসংবাদ/এমআই

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আতঙ্কে নথিপত্রহীন বাংলাদেশিরা, নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার ৪
ঢাকা সফর নিয়ে দিল্লিতে ব্রিফ করলেন বিক্রম মিশ্রি
আফগানিস্তানে মন্ত্রণালয়ের ভেতর বিস্ফোরণে মন্ত্রী নিহত
আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা, শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
পালানোর পথে আসাদের প্লেন বিধ্বস্তের গুজব
৫০ বছর পর সিরিয়ার সীমানায় ঢুকেছে ইসরায়েলি ট্যাংক
সিরিয়ার আগে যেসব দেশের স্বৈরশাসক পালিয়েছেন
বাশারের প্রধানমন্ত্রীর হাতেই থাকছে সিরিয়া সরকারের ভার
অর্ধশতাব্দী ধরে আসাদ পরিবারের সিরিয়া শাসন
সিরিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করছে হিজবুল্লাহ