শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়াম প্রাঙ্গণে বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে চা নিলাম কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন বানিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি।
অনুষ্ঠানে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলামে সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— রেলমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. নুরুল ইসলাম সুজন, পঞ্চগড় ১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম।
এছাড়া রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. হাবিবুর রহমান, স্মল টি গার্ডেন ওনার্স অ্যান্ড টি ট্রেডার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি মো. আমিরুল হক খোকন, পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা, পঞ্চগড় চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও পঞ্চগড় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আ. হান্নান শেখ, পঞ্চগড়ের সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার সাদাত সম্রাটসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে সমতলে চায়ের আবাদ শুরু হয়। এরপর ক্রমেই বাড়তে থাকে জেলায় চায়ের পরিধি। বর্তমানে জেলায় ১২ হাজার ৩৯ একর জমিতে চায়ের চাষাবাদ হচ্ছে।
জেলায় নিবন্ধিত ৯টি ও অনিবন্ধিত ২১টি বড় চা-বাগান (২৫ একর থেকে ওপরে) এবং সাড়ে ৮ হাজার ছোট চা-বাগান (০ থেকে ২৫ একর) রয়েছে। ৫৬টি কারখানার অনুমোদন দেওয়া হলেও চালু রয়েছে ২৬টি। এসব চা-বাগান থেকে সদ্যসমাপ্ত বছরে ৮০ লাখ কেজি কাঁচা চা-পাতা উৎপাদন করা হয়।
তবে চাষিরা কাঁচা চা-পাতার ন্যায্য দাম না পাওয়ায় উত্তরাঞ্চলে চায়ের নিলাম বাজার চালুর দাবি ওঠে। অনুমোদন দেওয়া হয় দেশের তৃতীয় ও প্রথম অনলাইনভিত্তিক নিলাম বাজারের। ইতোমধ্যে জেলায় ১১টি ব্রোকার হাউজ আবেদন করলেও অনুমোদন পেয়েছে ৫টি এবং ৬টি ওয়্যার হাউজ আবেদন করলেও অনুমোদন পেয়েছে ২টি। এ ছাড়া চা বিডার, বায়ার, চা টেস্টাররা প্রস্তুত রয়েছেন চায়ের নিলাম কার্যক্রমে অংশ নিতে। নিলামকেন্দ্র হলে চায়ের ন্যায্য দাম পাওয়ার পাশাপাশি তৈরি চা বিক্রির দর সম্বন্ধে জানতে পারবেন চাষিরা।
জেলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আব্দুল হান্নান শেখ বলেন, নিলাম বাজার হলে এখানে অনেক বিদেশি বায়ার আসবে। হোটেল মালিক, শ্রমিকসহ সবাই লাভবান হবে। জেলার অর্থনীতির নতুন মাত্রা যুক্ত হবে।
অর্থসংবাদ/এমআই