যেকোনো নির্বাচনী সীমানা পুনর্নির্ধারণের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) আছে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত এক শুনানিতে আদালত এমন পর্যবেক্ষণ দেন।
এ সময় পিরোজপুর-১ ও পিরোজপুর-২ আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের বৈধতা নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ জানান, নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী সীমানা পুনঃনির্ধারণ করেছেন। আইনের কোনো ব্যত্যয় হয়নি।
এর আগে, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের পিরোজপুর-১ ও সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর পিরোজপুর-২ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন পিরোজপুরের কাউখালীর বাসিন্দা আবু সাঈদ মিয়া, ভান্ডারিয়া পৌরসভার বাসিন্দা মো. কায়কোবাদ, মো. আহসানুল কিবরিয়া, ইন্দুরকানী উপজেলার বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান ও নেছারাবাদ উপজেলার বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম শরীফ।
এরপর গত ৩০ জুলাই পিরোজপুর-১ ও পিরোজপুর-২ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। আজ জারি করা সেই রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই রায়ের ফলে আগামী নির্বাচনে এই দুই সংসদীয় আসনে নতুন সীমানা নিয়েই ভোটগ্রহণ হবে।
উল্লেখ্য, গত ৩ জুন নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে পিরোজপুর-১ আসনের সঙ্গে পিরোজপুর-২ আসনে থাকা ইন্দুরকানী উপজেলাকে যুক্ত করা হয়েছে। আর পিরোজপুর-১ আসন থেকে কেটে নেছারাবাদ উপজেলাকে যুক্ত করা হয়েছে পিরোজপুর-২ আসনের সঙ্গে।
অর্থসংবাদ/এসএম