আফ্রিকার দেশ মরক্কোয় আঘাত হানা ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১১টায় আটলাস পর্বতমালার ওকাইমেদেনের স্কাই রিসোর্টের কাছে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয় বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস)। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে রাবাদ থেকে শুরু করে উত্তরের সিদি ইফনিসহ পুরো দেশ কেঁপে ওঠে।
প্রাথমিক অবস্থায় ভূমিকম্প ৫ জনের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম গাউড.মার বরাতে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানায়, ভূমিকম্পে প্রাণ গেছে ৫০ জনেরও বেশি মানুষের।
ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুরাতন মারাখেস শহর। সেখানে অসংখ্য বাড়ি-ঘর ধসে পড়েছে। আর পুরাতন এই শহরটিতেই সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। শহরটি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের খুব কাছে অবস্থিত।
যেখানে ভূমিকম্পটি সংঘটিতে হয়েছে সেখানে সাধারণত ভূমিকম্প হতে দেখা যায় না। কিন্তু শুক্রবার যে ভূমিকম্পটি হয়েছে— এটি ওই অঞ্চলে গত ১২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল বলে জানিয়েছে ইউএসজিএস।
মার্কিন ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা আরও জানিয়েছে, মাটি থেকে ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার। আর ভূমিকম্পটির স্থায়ীত্ব ছিল প্রায় ২০ সেকেন্ড।
আর এত দীর্ঘ সময় ধরে ঝাঁকুনি দেওয়ায় সাধারণ মানুষ প্রচণ্ড আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তারা দ্রুত বাইরে বের হয়ে আসেন। বড় ভূমিকম্পের ১৯ মিনিট পর ৪ দশমিক ৯ মাত্রার আরেকটি শক্তিশালী ভূমিকম্প (আফটারশক) হয়। এরপর আরও কয়েকবার কেঁপে ওঠে ওই অঞ্চলগুলো। ফলে রাতের বেলা ভয়ে বেশিরভাগ মানুষ আর নিজেদের বাড়ির ভেতর প্রবেশ করেননি।
ভূমিকম্পের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেন। এতে দেখা যায়, মারাখাসের বিখ্যাত লাল দেওয়ালের একটি অংশ ধসে পড়েছে।
অর্থসংবাদ/এসএম