এ ধরনের কাজে সহযোগিতার অভিযোগে একই সাজা দেওয়া হয়েছে তার দুই ভাইকেও। গত শুক্রবার চমকে দেওয়া কারাদণ্ডের বিষয়টি প্রকাশ্যে এসেছে।
অর্থপাচার, জালিয়াতির দায়ে বিপক্ষের কৌঁসুলি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হিসেবে ৪০ হাজার ৫৬২ বছরের সাজার আবেদন করেছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত বিচারক তাকে ১১ হাজার ১৯৬ বছরের কারাদণ্ডের সাজা শোনায়।
শুনানিতে ফারুক দাবি করেন, যদি তিনি কোনও অপরাধ করতেন তাহলে এমন অপেশাদার আচরণ করতেন না। যদিও বিপক্ষের আইনজীবীর দাবি, ফারুক ২০২১ সালের এপ্রিলে তুরস্ক থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ক্রিপ্টো কারেন্সি ব্যবহারকারীদের সম্পদের ২৫০ মিলিয়ন লিরা (প্রায় ৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) তিনটি গোপন অ্যাকাউন্টে সরিয়ে ফেলেন। এই কাজে সহযোগী ছিলেন তার দুই ভাই সেরাপ ও গুভেন। এই কারণে তাদেরও এক সাজা শুনিয়েছে আদালত।
একটি বিষয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে, মানুষের ৭০-৮০ বছরের জীবনে ১১ হাজার বছর জেল খাটা কখনই সম্ভব না। তাহলে কীসের ভিত্তিতে এমন সাজা দিলেন বিচারক। আসলে অপরাধের মাত্রা বোঝাতেই দোষীকে এমন শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে খবর। আদতে যা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিণত হবে।