জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে। এবার এই প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই ৩০০ আসনের ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে আগামী ২ নভেম্বর চূড়ান্ত করা হবে আসনভিত্তিক ভোটার তালিকার সিডি। ভোটার তালিকা চূড়ান্তের পরেই ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সূত্রে জানা গেছে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোটার তালিকায় তরুণ বা নতুন ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করতে মাঠ কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া যারা ভোটার এলাকা পরিবর্তন করবেন তাদেরও আবেদন করতে বলা হয়েছে। এই কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর পরই ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করা হবে।
খসড়া তালিকা অনুযায়ী, এবার ৪২ হাজার ৪০০টির মতো ভোটকেন্দ্র হতে পারে। আর ভোটকক্ষ হতে পারে দুই লাখ ৬১ হাজার ৫০০টি। অন্যদিকে সর্বশেষ ২০২২ সালের হালনাগাদ অনুযায়ী দেশে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। তরুণ ভোটারদের অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ সৃষ্টি করায় এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাসির উদ্দিন চৌধুরীর পাঠানো এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ থেকে উপজেলা বা থানাভিত্তিক ভোটার তালিকা যাচাই-বাছাই করার জন্য পাঠানো হবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর। এরপর উপজেলা বা থানাভিত্তিক ছবিসহ ও ছবি ছাড়া ভোটার তালিকা নির্বাচনী কাজে ব্যবহারের জন্য মাঠপর্যায়ে পাঠানো হবে আগামী ২৮ অক্টোবর। সবশেষে ৩০০টি নির্বাচনী এলাকার জন্য হালনাগাদ ছবি ছাড়া ভোটার তালিকার সিডি প্রস্তুত করা হবে ২ নভেম্বর।
এর আগে, গত ১৬ আগস্ট ভোটকেন্দ্রের খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। সেই তালিকার ওপর দাবি-আপত্তি জানাতে সময় দেওয়া হয় ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। দাবি-আপত্তি শুনানি শেষে তা নিষ্পত্তির শেষ সময় ১৭ সেপ্টেম্বর। আর আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর ভোটকেন্দ্রের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল ঘোষণার পর আগামী ডিসেম্বরের শেষে অথবা ২০২৪ সালের জানুয়ারি প্রথম সপ্তাহে ভোটগ্রহণ হবে।
অর্থসংবাদ/এসএম