আঞ্চলিক জলবায়ু শীর্ষক এ সম্মেলনে বিভিন্ন নীতিনির্ধারক, কূটনীতিক, বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, গবেষক এবং সরকারি ও বেসরকারী সংস্থার সিনিয়র স্টেকহোল্ডারেরা একত্রিত হয়েছেন। ১১৮ বছর ধরে বাংলাদেশের অগ্রগতির সাথে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড জলবায়ু-সংরক্ষিত জনগোষ্ঠীর জীবনমান পরিবর্তনে জলবায়ু অভিযোজন ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে ও তাদের মূলধনের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিন দিনের এই কর্মসূচিতে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড-এর সিনিয়র ব্যাক্তিবর্গ প্যানেলিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন। এ সম্মেলনে আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল- জলবায়ু অভিযোজনের প্রয়োজনীয়তা।
অনুষ্ঠানে প্যানেলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, ব্র্যান্ড ও মার্কেটিংয়ের প্রধান বিটপি দাস চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে আমরা ২০৩০ সাল পর্যন্ত ১ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করে যাচ্ছি যা জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি পূরণের পাশাপাশি ১১ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের জিডিপি হ্রাসকে রক্ষা করবে। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে এই অভিযোজনে সকলের অংশীদারিত্ব একান্তভাবে কাম্য। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড দ্বারা পরিচালিত একটি সমীক্ষা ‘অভিযোজিত অর্থনীতি’ প্রকাশ করে যে, জলবায়ু বিষয়ে সামাজিক নিষ্ক্রিয়তা বর্ধিত ব্যয়ের সাথে সাথে সামাজিক বোঝা তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
অনুষ্ঠানে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের কর্পোরেট, কমার্শিয়াল অ্যান্ড ইনস্টিটিউশনাল ব্যাংকিংয়ের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং হেড অফ ক্লায়েন্ট কভারেজ এনামুল হক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে ঝুঁকিপূর্ণ জনপদগুলো সবসময় তহবিলের অনুদান গ্রহণ করতে পারছে না। এই বৈষম্য মোকাবেলার উদ্ভাবনী ও কার্যকর অর্থায়ন ব্যবস্থা যেমন, গ্রিণ বন্ড, ব্লু বন্ড এবং সাসটেইনিবিলিটি-লিংকড লোন গ্রহণ করা আবশ্যক।
এই বছর বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো জলবায়ু সংসদ বাংলাদেশ, দ্য আর্থ সোসাইটি, অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন (ওআরএফ) এবং জলবায়ু সংসদ এর সহযোগীতায় আঞ্চলিক জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনটি আয়োজন করা হয়েছে।
অর্থসংবাদ/এমআই