নোবিপ্রবির সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগ ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের একদল গবেষক এই গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন।
চলতি বছরের জুনে আমস্টারডামভিত্তিক রিজিওনাল স্টাডিজ অন মেরিন সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, ১২ কেজি কাঁচা লবণে ৯ হাজার ৬৪০টি মাইক্রোপ্লাস্টিকের কণা পাওয়া গেছে। সমুদ্রবেষ্টিত এলাকা থেকে সংগৃহীত লবণে বেশি পরিমাণ মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে বলেও গবেষণায় বলা হয়েছে।
আগের গবেষণার চেয়ে সাম্প্রতিক গবেষণায় লবণে মাইক্রোপ্লাস্টিকের উপস্থিতি বেশি পাওয়া গেছে। এর আগে ২০২১ সালে পরিচালিত অন্য একটি গবেষণায় প্রতি কেজি কাঁচা লবণে ৭৮ থেকে ১৩৭টি কণা খুঁজে পেয়েছিলেন গবেষকরা।
২০২১ সালের গবেষণাটি বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিওআরআই) ও নোবিপ্রবির ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সায়েন্স বিভাগ যৌথভাবে করেছিল। 'মাইক্রোপ্লাস্টিকস পলিউশন ইন সল্ট প্যানস ফ্রম মহেশখালী চ্যানেল, বাংলাদেশ' শীর্ষক গবেষণাটি ২০২১ সালের নভেম্বরে নেচার জার্নালে প্রকাশিত হয়।
সোডিয়াম ক্লোরাইডের সমন্বয়ে গঠিত লবণ দেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলে উত্পাদিত হয়। এটি আমাদের খাদ্যের একটি অপরিহার্য অংশ, যা মানবদেহের জন্য অনিবার্য খনিজ যোগায়।
বিশেষজ্ঞদের ভাষ্য, লবণে মাইক্রোপ্লাস্টিকের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হতে পারে।
গবেষকরা জানান, সাবান, ফেসওয়াশ, ক্লিনজার এবং বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজিং ও একক-ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের মতো টয়লেট্রিজ পণ্যের কারণে কাঁচা লবণের দূষণ ঘটে।
অর্থসংবাদ/এমআই